লেন্সক্যাপ না খুলেই চিতার ছবি তুললেন মোদী! ভাইরাল ছবি ঘিরে শোরগোল

লেন্সক্যাপ না খুলেই চিতার ছবি তুললেন মোদী! ভাইরাল ছবি ঘিরে শোরগোল

নয়াদিল্লি:  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ভারতে এসে পৌঁছয় আট আফ্রিকান চিতা৷ ভারতীয় বায়ুসেনার চপারে নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে আসে চিতাগুলি৷ এর পর তাদের মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে চিতাগুলিকে খাঁচামুক্ত করেন৷ এরপর তাদের ছবি তুলতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে৷ বেশ কিছু ক্ষণ চিতাগুলির দিকে ক্যামেরা তাক করে রাখতে দেখা যায় নমোকে৷ এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু ছবি৷ যেখানে স্পষ্টভাবে দেখানো হয়, ক্যামেরার লেন্সক্যাপ না খুলেই ছবি তুলছিলেন মোদী। যা নিয়ে নেটপাড়ায় শুরু হয় ঠাট্টা-তামাশা৷ 

আরও পড়ুন- ভিতরে পা, বাইরে ঝুলে শরীর, চলতে শুরু করল স্কুলের লিফট! মর্মান্তিক পরিণতি শিক্ষিকার

মধ্যপ্রদেশের জাতীয় উদ্যানে ক্যামেরা হাতে মোদীর দু’ধরনের ছবি ভাইরাল হয়েছে অন্তর্জালে। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে,  মোদীর হাতে যে ক্যামেরাটি ধরা রয়েছে, তার লেন্সক্যাপের অংশটি অন্ধকার। ফলে লেন্সক্যাপ খোলা রয়েছে না বন্ধ,  তা পরিষ্কার নয়। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি ছবি নেটমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেখানে দেখা গিয়েছে,  প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকা ক্যামেরার লেন্সক্যাপের অংশে মোটা হরফে লেখা ‘ক্যানন’। ক্যামেরা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির নাম এভাবেই বন্ধ লেন্সক্যাপের উপর লেখা থাকে। তবে মোদীর ক্যামেরা হাতে ছবি ভাইরাল হতেই মশকরা শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতারা৷ ওই ছবি দেখিয়ে ঠাট্টা করে তাঁরা বলছেন, ছবি তোলার সাধারণ জ্ঞানটুকুও নেই প্রধানমন্ত্রীর।  

সংবাদ সংস্থা ওপি ইন্ডিয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাইরাল ছবিগুলির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে। তারা জানাচ্ছে, ভাইরাল হওয়া দু’টি ছবির কোনওটাই সঠিক নয়। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী ‘ক্যানন’ নয়, ‘নিকন’ সংস্থার একটি ক্যামেরা ব্যবহার করছিলেন। তাতে জুম লেন্স লাগানো ছিল। নিকনের ক্যামেরাগুলিতেও লেন্সক্যাপের বাইরে মোটা হরফে সংস্থার নাম উল্লেখ থাকে। ভাইরাল ছবিতে তেমন কিছুই দেখা যায়নি। সুতরাং, মোদীর হাতের ক্যামেরাতে লেন্স খোলা ছিল বলেই  দাবি ওই সংস্থার। 

ওপি ইন্ডিয়া আরও জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি জুম করে দেখলে খুব হালকা ভাবে লেন্সের চারধারের লেখাটা দেখা যাবে। ইউভি লেন্স ফিল্টারের কারণেই এই লেখা দেখা যাচ্ছে বলে দাবি তাদের। লেন্সের কাচকে বাইরের ধুলোবালি হাত থেকে রক্ষা করতেই এই ফিল্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফিল্টারটি খোলা থাকলে দূর থেকে লেন্সের কাচ দেখা প্রায় অসম্ভব৷ এ ক্ষেত্রে আলোর কারণে তা একেবারেই দেখা যায়নি বলে  দাবি ওপি ইন্ডিয়া-র।