নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী ছোট বেলায় তাঁর বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করতেন। এমন কথা বহুবার শোনা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এমনকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রথমবারের জন্য ভারত ভ্রমনে এসে প্রধানমন্ত্রীকে ‘চা ওয়ালা’ বলেই অভিহিত করেছিলেন৷ শোনা যায়, পশ্চিম রেলের বড়নগর স্টেশনের বাইরে মোদীদের চায়ের দোকান ছিল৷ কিন্তু কোথায় সেই দোকানের অস্তিত্ব? পশ্চিম রেলের তরফে এই কথার জবাব নেই!
আরটিআই অ্যাক্ট বা তথ্য জানার আইন অনুযায়ী, হরিয়ানা আদালতের আইনজীবী তথা সমাজকর্মী পবন পারেখ পশ্চিম রেলের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়ায় রেল কোনও তথ্য দিতে পারেনি। পশ্চিম রেলের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে এই প্রশ্নের কোনও জবাব ছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মানুষের আস্থা পেতে তাহলে কি এই গল্প সাজানো?
পবন বাবু জানতে চান, প্রধানমন্ত্রীর বাবার আদৌ বড়নগর স্টেশনের বাইরে কোনও চায়ের দোকান ছিল কি না। যদি থেকেও থাকে তাহলে দোকানটির লাইসেন্স কোথায়? রেল তরফে স্টেশনের কাছে দোকান খুলতে গেলে লাইসেন্স লাগে। রেল তরফে মঞ্জুরির সেই বৈধ কাগজ পত্র এখন কোথায় আছে? কিন্তু সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনে আবেদন জানালেও পবন বাবু এ সম্পর্কে কোনও সদুত্তর পাননি। দ্বিতীয় বারের জন্য আবেদন করলে, পবন বাবুকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ডিভিশনের কাছে এই বিষয়ে কোনও পূর্ব রেকর্ড নেই। এমনকি ১৭ জুনের আগে পবন পারেখের তরফে কোনও আবেদন আসেনি এই মর্মে পবন বাবুর দ্বিতীয় আবেদন খারিজ করে দেয় ইনফরমেশন কমিশনের অফিসার অর্মিতা পাণ্ডবে।
এর আগে ২০১৫ সালে সমাজকর্মী তথা কংগ্রেস সমর্থক তেহসিন পুনওয়ালা এই বিষয়ে প্রশ্ন করায় রেল তরফে একই ভাবে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে এই বিষয়ে কোনও রেকর্ড নেই। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, আগেও বহুবার পবন বাবুর একাধিক আবেদন খারিজ হয়েছে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় মোদী ১৫ লক্ষ টাকা করে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন সেই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছেন কিনা সেই নিয়ে ২০১৬ সালে আরটিআই অ্যাক্ট এর মাধ্যমে তথ্য জানার আবেদন করেছিলেন। আবার ২০১৭ সালে সোহরাবউদ্দিন এনকাউন্টার মামলায় অমিত শাহর অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে একই আইনে আবেদন করেন পবন। দুই ক্ষেত্রেই পবন পারেখের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।