কলকাতা: দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ স্কুল-কলেজ৷ ব্যতিক্রম নয় বাংলা৷ অনলাইন ক্লাসের উপর ভরসা করে কলেজ পড়ুয়াদের দিতে হয়েছে পরীক্ষা৷ আচমকা অনলাইন পরীক্ষা দিতে গিয়ে চূড়ান্ত সমস্যার মুখোমুখি হন গ্রামাঞ্চলে থাকা পড়ুয়ারা৷ প্রায় দশ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও স্কুল খোলার কোনও দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্য সরকার৷ অবশ্য শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, এবছর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত স্কুল-কলেজ খুলে পঠনপাঠনের কাজ শুরু হতে পারে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্কুলগুলিকে দ্রুত স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যাতে রাজ্য সরকার অনুমোতি দিলেই স্কুলে দ্রুত পঠন পাঠনের কাজ শুরু করা যায়৷
দীর্ঘ দশমাস স্কুল বন্ধ থাকার পর আনলক পর্বে স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন রাস্তায় নেমে সরব হয়। শিক্ষকদের অনেকাংশই এই মুহূর্তে চাইছেন ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে স্কুলে পঠনপাঠনের কাজ শুরু করতে৷ গ্রামাঞ্চচলে যে সমস্ত অংশে মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল, মোবাইল-কম্পিউটার ব্যবহারে সাবলীল নয় কিংবা প্রযুক্তি ব্যবহারের সামর্থ্য নেই, সেই সমস্ত পড়ুয়ার পঠনপাঠন থেকে এখনও বঞ্চিত৷ ইতিমধ্যেই আবার রাজ্য সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষাসূচি ঘোষণা করেছ। সকল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ১০হাজার টাকা ব্যাঙ্কে দেওয়া হচ্ছে, তাদের পড়াশুনোর প্রয়োজনীয় ট্যাব কিনে অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সূত্রের খবর, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার আগে ক্লাসরুমে পঠনপাঠনের কাজ শুরু করতে চাইছে রাজ্য৷
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, স্কুলে পঠনপাঠন প্রক্রিয়া শুরু হলে কী কী গাইডলাইন মানতে হবে তা তৈরি করে ফেলেছে শিক্ষা দফতর। এই গাইড লাইনে একটা ঘরে ক’জন বসবে, কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে৷ তবে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের পর স্কুল খোলা নিয়ে জল্পনা বেড়েছে৷ মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য অন্তত স্কুলে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে শিক্ষকদের একাংশের অভিমত৷