কলকাতা: এলোমেলো ভাবে পড়ে রয়েছে তিনটি ট্রেনের ছিন্নভিন্ন অংশ। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কামরাগুলো পড়ে রয়েছে চারটে লাইন জুড়ে৷ ঠিক এমনই ছবি উঠে আসছে ওড়িশার বালেশ্বর থেকে৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ৷ মৃত্যু মিছিল দেখার পর এখন একটাই প্রশ্ন, আবার কবে স্বাভাবিক হবে দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেন পরিষেবা? রেলের তরফে সরকারি ভাবে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে রেলের উদ্ধার কাজের সঙ্গে যুক্ত এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের একাংশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর মনে করছেন, সোমবারের আগে ধ্বংসস্তূপ সরানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হতে মঙ্গলবার হয়ে যাবে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরি জানিয়েছেন, কবে থেকে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কথায়, হতাহতদের উদ্ধার করাই এখন রেলের অগ্রাধিকার৷
যে ভাবে বালেশ্বরের রেল লাইন লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে তাতে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে। শনিবার দুপুরের মধ্যে হতাহতদের উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হলেও, ধ্বংসস্তূপ সরাতে কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা সময় লেগে যাবে বলেই মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবারের পর শনিবারও এই রুটের অধিকাংশ ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে। কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে।
হাওড়া থেকে বাতিল করা হয়েছে- হাওড়া-পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, হাওড়া-সেকন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস, হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-তিরুপতি হমসফর এক্সপ্রেস, হাওড়া-তিরুপতি হমসফর এক্সপ্রেস, হাওড়া-চেন্নাই মেল, হাওড়া-জলেশ্বর বাঘাযতীন এক্সপ্রেস, সেকেন্দরাবাদ-হাওড়া ফলকনুমা এক্সপ্রেস।