হোম আইসোলেশন থেকে বেরিয়ে আসার সঠিক সময় কখন? কী ভাবেই বা থাকতে হবে

হোম আইসোলেশন থেকে বেরিয়ে আসার সঠিক সময় কখন? কী ভাবেই বা থাকতে হবে

নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাস্তানাবুদ গোটা দেশ৷ যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বলা হচ্ছে, বাড়াবাড়ি না হলে বাড়িতে থেকেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সম্ভব৷ সকল রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই৷ হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেই তাঁর সুস্থ হতে পারবেন৷ হোম কোয়ারেন্টাইনের অর্থ হল, কোভিড পজেটিভ হওয়ার পরেই প্রটোকল এবং চিকিৎসকদের পরমার্শ মতো নিজের বাড়ির মধ্যেই নিজেকে আইসোলেট করে রাখা৷ অর্থাৎ বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের থেকে সরিয়ে রেখে চিকিৎসা করানো৷ 

আরও পড়ুন- আপনি কি করোনা জয়ী? তাহলে এই ৭টি টেস্ট মাস্ট

কখন হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন শেষ হয়? 

কোভিড লক্ষণ দেখা দেওয়ার ১৪ থেকে ১৭ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে৷ যাঁদের সমস্যা একটু বেশি থাকবে, তাঁরা রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ার ১০ দিন পর কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন৷ তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সঠিক পদক্ষেপ৷ 

উল্লেখ্য বিষয় হল, করোনার অন্যতম প্রধান লক্ষণ জ্বর৷ যদি কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির টানা তিন দিন জ্বর না আসে এবং ওষুধে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেন, সেক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করা যেতে পারে৷ তবে খেয়াল রাখতে হবে, কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় যেন কোনও ভাবেই আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়ির প্রবীণ বা কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন সদস্যদের সংস্পর্শে না আসেন৷ বড়িতে থাকলেও আক্রান্ত ব্যক্তিকে ত্রিস্তরীয় মেডিক্যাল মাস্ক পরে থাকতে হবে৷ এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা বদলে নিতে হবে৷ এবং মাস্ক বদলের সময় অবশ্যই সেটা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷  এছাড়াও আক্রান্ত রোগী যে ঘরে থাকবেন সেই ঘরে জানলা খুলে রাখতে হবে৷ যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসতে পারে৷ তবে তাঁর ঘরে যখন কেউ প্রবেশ করবে, তখন উভয়কেই এন৯৫ মাস্ক পরতে হবে৷

আরও পড়ুন- সব দেশে জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র! ভারতে আসতে পারে মডার্নার ভ্যাকসিন

এছাড়াও দু’বার আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ এলে বুঝতে হবে রোগী করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন৷ এবং তিনি হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হতে পারবেন৷ মূলত হোম আইসোলেশনের জন্য ১৪ দিন ধার্য করা হয়েছে৷ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ের মধ্যেই ভাইরাসের মৃত্যু ঘটে৷ অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (এআইএমস)-এর চিকিৎসক ড. রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘‘বিজ্ঞান সম্মত ভাবে এটা প্রমাণিত যে, মৃদু সংক্রমণের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে ভাইরাসের মৃত্যু ঘটে৷’’
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =