নয়াদিল্লি: হোয়াটসঅ্যাপের নতুন এবং বিতর্কিত প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে জারি তরজা। কিছুদিন আগেই নিজেদের নতুন প্রাইভেসি পলিসির নানা খুঁটিনাটি ব্যাখ্যা করে বিবৃতি দিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে বিশেষ সুরাহা হয় নি। নতুন প্রাইভেসি পলিসি ব্যবহারকারীর পক্ষে নিরাপদ নয়, এই মর্মে অভিযোগ করে এদিন হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক ব্যক্তি।
জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে আদালতে করা আবেদনে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে কোনোভাবেই যেন হোয়াটসঅ্যাপ থার্ড পার্টির হাতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দিতে না পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে যত দিন পর্যন্ত ‘পার্সোনাল প্রোটেকশন বিল’ পাশ না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি যাতে কার্যকর না হয় তার ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে ওই আবেদনে।
সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন চৈতন্য রোহিল্লা নামের এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃক আনীত নতুন নীতি আদতে সাধারণ মানুষের গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হরণ করে, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য থার্ড পার্টির হাতে তুলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন চৈতন্য রোহিল্লা।
হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে এদিন অবিলম্বে তাদের নতুন নীতি বা প্রাইভেসি পলিসির উপর স্থগিতাদেশ জারি করার দাবি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর এই পদক্ষেপের ফলে দেশে হোয়াটসঅ্যাপের অবস্থান যে খানিক বিপাকে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নতুন বছরের শুরুতেই নিজেদের নতুন প্রাইভেসি পলিসির কথা ব্যবহারকারীদের জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর মাধ্যমে অ্যাপে নতুন কিছু সংস্কার আনার কথাও বলা হয়েছে।হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসির সঙ্গে সহমত পোষণ না করলে আগামী মাস থেকে আর হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা মিলবে না বলেও জানিয়েছ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন ঘোষণার পর থেকেই তার নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।