নয়াদিল্লি: বেঙ্গালুরুতে প্রথম দিন বিরোধী জোটের বৈঠক বেশ ভালোই কেটেছে৷ সোনিয়া গান্ধীর আয়োজিত নৈশভোজের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, ‘সূচনা যদি মসৃণ হয়, তাহলে আর্ধেক কাজ হয়ে যায়।’ তবে এই বৈঠকে বিরোধী জোট আরও মজবুত করে বাঁধার পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হবে৷ পাল্টে ফেলা হবে ইউপিএ জোটের নাম৷ রাজনীতির অঙ্ক মেলাতে নামের কম মহাত্ম্য নেই৷ লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোটের একটা যুতসই নাম ভাবা জরুরি বলে মনে করছেন সোনিয়া গান্ধীর পরামর্শদাতারা। সম্ভবত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করবেন না।
পাটনার পর মঙ্গলবার থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠক৷ কংগ্রেস-সহ অন্য সব দলই এ বিষয়ে একমত যে পূর্বতন ইউপিএ নামের ব্যবহার আর না করলেই ভাল। বরং এমন নাম বেছে নেওয়া উচিত, যার মধ্যে ইন্ডিয়া বা ভারত শব্দটি থাকবে। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোটের জন্য চারটি নতুন নামের প্রস্তাব ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সম্ভবত আজই জোটের চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করা হবে।
কেন ভারত বা ইন্ডিয়া শব্দের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে? কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতার কথায়, মোদী সরকারের আমলে আক্রান্ত ভারতের বহুত্ববাদ৷ দেশের বৈচিত্রকে সমূলে উৎখাতের চেষ্টা চলছে৷ রাষ্ট্রবাদের নামে গোটা দেশের উপর একটা নিয়ম চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যা প্রকৃত ভারত নয়। যে ২৬টি দল মিলে বিরোধী জোট তৈরির চেষ্টা চলছে, তাদের উত্থান হয়েছে জাতীয় ও আঞ্চলিক স্তরে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, আবেগ ও সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে৷ এই জোটই প্রকৃতপক্ষে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে। যেই জোটে জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ বা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি রয়েছেন, আবার তামিলনাড়ুর দ্রাবিড় দল ডিএমকেও রয়েছে। পূর্বের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন আবার পশ্চিমে শরদ পাওয়ার রয়েছেন। রাজ্যস্তরে এই দলগুলির কোথাও কোথাও মতান্তর বা রাজনৈতিক লড়াই হয়ে থাকতেই পারে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থে এঁরা প্রত্যেকেই ধর্মনিরপেক্ষ, এবং দেশের প্লুরালিজম রক্ষার পক্ষে।