কলকাতা: ইভিএম-এ বিভিন্ন দলের প্রতীকের পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর আগেই জায়গায় করে নিয়েছিল আরও একটি অপশন৷ আর সেটি হল ‘নোটা’৷ ২০১৩ সালে আমাদের দেশে প্রথমবার ছত্তিশগড়, মিজোরাম, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লি বিধানসভা ভোটে দেখা যায় ‘নোটা’র উপস্থিতি৷ কি এই নোটা?
আরও পড়ুন- বিজেপি কতটা ভয়ঙ্কর? ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝালেন রাহুল
নোটার অর্থ হল ‘নান অফ দ্য অ্যাভব’৷ অর্থাৎ উপরের কোনও প্রার্থীকেই যদি পছন্দ না হয়, তাহলে এই বোতামটি টিপতে পারেন ভোটার৷ এখন প্রশ্ন হল, তবে কি কোনও কেন্দ্রে নোটা-য় সর্বাধিক ভোট পড়লে সেই কেন্দ্রের ভোট বাতিল হয়ে যাবে? বলে রাখা ভালো এক্ষেত্রে ভোট বাতিলের কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেই। এই অপশানের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনের সময় কোনও প্রার্থীকে যদি যোগ্য বলে মনে না হয়, তাহলে তাঁদের সকলকে নোটা বোতাম টিপে বাতিল করার অধিকার দেওয়া হয়েছে ভোটারদের৷ তবে উল্লেখ্য বিষয় হল, সুপ্রিম কোর্টের একটি আবেদনে বলা হয়েছে, যদি কোনও কেন্দ্রে নোটাতে সর্বাধিক ভোট পরে, তাহলে সেখানে আবার যেন নির্বাচন করা হয়৷ এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৫ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁদের মত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷
জেনে নেওয়া যাক কোন ধরনের নির্বাচনী খরব ও কাজকর্ম অবৈধ ও অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়? প্রথমত, ভোটারদের নগদ টাকা, মদ, উপহার বা অন্যান্য সামগ্রী বিনামূল্যে দিয়ে টোপ দেওয়ার চেষ্টা৷ দ্বিতীয়ত, সংবাদপত্র বা বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে টাকা দিয়ে খবরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা৷ নিজের পক্ষে খবর প্রচার বা প্রকাশ করানো৷ তৃতীয়ত, প্রতি রাজ্যে সাংসদ ও বিধায়কদের নির্বাচনী খরচের উর্দ্ধসীমা বাঁধা আছে৷ এই সীমার উর্ধে খরচ করা আইন বিরুদ্ধ৷
আরও পড়ুন- শীতলকুচি-কাণ্ড থেকে শিক্ষা, কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের
চতুর্থ, নির্বাচনী প্রার্থীর সম্মতি ছাড়া তৃতীয় কোনও ব্যক্তি প্রার্থীর হয়ে বিজ্ঞাপন জারি বা প্রকাশ করলে সেটা অপরাধ বলেই বিবেচিত হয়৷ এছাড়াও পঞ্চমত, আইন অনুসারে নির্বাচনী হোর্ডিং, পোস্টার ও ব্যানারে প্রকাশকের নাম উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক৷