west bengal
কলকাতা: পুজোর মুখে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! উৎসবের মুরশুমে ঝলমলে আকাশ দেখে মন ভালো হয়ে গিয়েছিল উৎসবমুখর বাঙালির৷ কিন্তু নিম্নচাপের বার্তায় ফের ভারক্রান্ত মন। তবে কি আশা জাগিয়েও বৃষ্টির কুনজরে ভেস্তে যাবে দুর্গোৎসব? খানাপিনা থেকে প্যান্ডেল হপিং, বাঙালির পায়ে কাঁটা হয়ে বিঁধবে বৃষ্টির জল? আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আরব সাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। যেটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই নিম্নচাপের প্রভাব কি বাংলার উপর পড়বে? এই প্রশ্নের জবাবে কী বলল আলিপুর আবহাওয়া দফতর?
পুজোর আগে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভবনা না থাকলেও, আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে চলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি ঘূর্ণিঝড় ‘তেজে’ পরিণত হবে কি না, সে বিষয়ে রবিবার পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেনি কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর৷ তবে ওই নিম্নচাপের কোনও প্রভাব যে এরাজ্যের উপর পড়বে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করেছে হাওয়া অফিস।
বঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করে আলিপুর আবহাওয়া দফরের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, আরব সাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপটি নিয়ে আমাদের উদ্বগের কোনও কারণ নেই। এই ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের কোনও প্রভাব বাংলায় পড়বে না। পুজোতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে৷ সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে উত্তুরে হাওয়াও প্রভাব বিস্তার করবে৷ এর ফলে সকালে ও সন্ধ্যা নামর পর হালকা শীত অনুভূত হবে৷ নবমী এবং দশমীতে সামান্য আবহাওয়ার বদল হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভেস নেই। নবমী-দশমীর দিন দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন ও কাছাকাছি এলাকায় মেঘলা আকাশের সঙ্গে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আরব সাগরের তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের কিছু অংশে ভারী মাত্রায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন৷
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করবে। আপাতত মেঘের দেখা মিলবে না। মেঘমুক্ত আকাশেই হবে মাতৃ আরাধনা। দিনের বেলা আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি সামান্য অনুভূত হতে পারে৷ ফলে এবার পুজোয় বৃষ্টি নিয়ে টেনশন ফ্রি থাকবে বঙ্গবাসী৷
রবিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি৷ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ।