আরও কমছে কোভিড বেডে, বেসরকারি হাসপাতালে সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের

আরও কমছে কোভিড বেডে, বেসরকারি হাসপাতালে সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের

9f02a1d5b5482304bf8833be25153269

কলকাতা: রাজ্য জুড়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সরকারি করোনা বেডের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। লকডাউনের প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালগুলিতে যে পরিমাণ বেডের প্রয়োজন পড়েছে এখন তা আর লাগছে না, এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর অজয় চক্রবর্তী একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে সারা বাংলার ৫৫টি বেসরকারি হাসপাতালের সরকার অধিকৃত বেড সাধারণ রোগীর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “রাজ্যে দৈনিক কোভিড আক্রান্তদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীর ভর্তির সংখ্যাও হ্রাস পাচ্ছে। সেই জন্যই বেসরকারি হাসপাতালগুলির সরকারি করোনা বেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রয়োজন পড়লে ৩ দিনের মধ্যে বেডগুলি হস্তান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪১২, বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যাটা ৪০৯। আমরি হাসপাতালের ৭২টি বেড এতদিন রাজ্য সরকারের অধীনে ছিল, যার মধ্যে ৬০টি সাধারণ এবং ১২টি জরুরিকালীন। তবে ইতিমধ্যেই ৫০টি সাধারণ বেগের দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তেমনই বাইপাস সংলগ্ন দিসান হাসপাতালে অধিকৃত ১১৩টি বেডের মধ্যে ৮৩টি বেড হাসপাতালকে ছেড়ে দিয়েছে সরকার।

পাশাপাশি, কেপিসি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, নারায়ণা হাসপাতাল, চার্নক হাসপাতালগুলিকেও নিজেদের অধিকৃত অধিকাংশ বেড ফিরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর। বেসরকারি হাসপাতালগুলির সরকার অধিকৃত এই বেডগুলিতে রোগীর বিনামূল্যে চিকিৎসা হত, যদি কোনও সরকারি হাসপাতাল তাদের সেই বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাত। সেক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে বিল করা হত সরকারি হাসপাতালে নামে।

“তবে সরকারি হাসপাতালের অনুমোদন ছাড়া রোগীর পরিবার যদি সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় সরকার অধিকৃত বেডের জন্যও যোগাযোগ করেন তবে তাকে চিকিৎসার পুরো পয়সা দিতে হবে”, জানিয়েছেন আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শীর্ষকর্তা রূপক বড়ুয়া। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেহেতু রাজ্যে এখন কোভিড আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে, তাই সেই বেড সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ করা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *