কলকাতা: দিল্লিতে সম্মানিত রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প৷ কেন্দ্রের দেওয়া প্ল্যাটিনাম ডিজিটাল পুরস্কারে সম্মানিত হল পশ্চিমবঙ্গ৷ নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু৷ উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি হিসাবে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রাম নিয়ে কুণাল-শুভেন্দু বাকযুদ্ধ, তরজা তুঙ্গে সকাল থেকেই
তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি যে ভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছনো হচ্ছে, তার একটি রিভিউ করা হয়েছিল৷ তার মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্পও৷ অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছিল এই প্রকল্পকে৷ তার জেরেই এই পুরস্কার৷
দুয়ারে সরকার প্রকল্প, তৃণমূল সরকারের এমন একটি উদ্যোগ, যা প্রথম থেকেই আলোচনায় এসেছে। সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হত সাধারণ মানুষকে৷ বারেবারে সরকারি অফিসে দৌড়তে হত। বহুক্ষেত্রে হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই এই প্রকল্প আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এক ছাদের তলায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা একসঙ্গে পাওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে আসে রাজ্য সরকার।
নির্দিষ্ট সময় জেলায় জেলায় নির্দিষ্ট এলাকায় এই ক্যাম্প তৈরি হয়। সেই ক্যাম্পে গিয়েই বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে জনগণ৷ স্বাথ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে রেশন কার্ড, সব কিছুর সুবিধা মেলে এখানে৷
এদিন পুরস্কার গ্রহণের পর বিজ্ঞানভবনের বাইরে বিজেপি’র কড়া সমালোচনা করেন তিনি৷ কারণ, এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর নানা মন্তব্য করেছিল গেরুয়া শিবির৷ বহু ব্যঙ্গ বিদ্রুপও করা হয়৷ বিজেপি’র সমালোচনার পাশাপাশি এই পুরস্কারকে অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি বলেও প্রতিক্রিয়া জানান চন্দ্রিমা৷ তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু করা হয়। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচবার এই দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো রাজ্য সরকারের ২৭টি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ৭ কোটি ৮০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত সুবিধা পেয়েছেন ৬ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ। রাজ্যে সব সরকারি অনুদানই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরাসরি প্রাপকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন চন্দ্রিমা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>