‘বাংলার ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, বৈঠকে মোদীকে আশ্বস্ত করলেন মমতা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভাইরাস সংক্রান্ত বৈঠকে আশ্বাস দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক মাস ধরে দেশ এবং বিশ্বে দাপট ছড়িয়ে রেখেছে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে থাকলেও ভাইরাসের ভ্যাকসিন আদতে কবে আসবে তা নিয়ে এখনও কেউ কিছু স্পষ্ট করতে পারছে না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, আগামী বছরের শুরুর দিকেই চলে আসবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন। তবে এই পরিস্থিতিতে আপাতত ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই চ্যালেঞ্জটা বাংলা ভালোভাবেই সামলাচ্ছে, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভাইরাস সংক্রান্ত বৈঠকে আশ্বাস দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উৎসব মরসুমে দেশের ভাইরাস পরিস্থিতি আরো জটিল হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই ফের লকডাউন কার্যকরী করার সিদ্ধান্তের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এবং ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকেই তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার সংখ্যা অনেক বেশি বেড়েছে বিগত কিছুদিনে। একইসঙ্গে দিনপ্রতি ভাইরাস সংক্রমণের হার আগের থেকে অনেক কম বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এদিন দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এই ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সদস্য তথা কেন্দ্রের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল সহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর একাধিক আধিকারিকরা। একাধিক রাজ্যের ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি, ভ্যাকসিন আসার পরে তা বণ্টন কিভাবে করা হবে, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে এই বৈঠকে। 

মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭,৯৭৫ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নয়া সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৯১,৭৭,৮৪০ জন। এখনও চিকিত্‍‌সাধীন রয়েছেন ৪,৩৮,৬৬৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৬,০৪,৯৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪২,৩১৪ জন।মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৩৪,২১৮। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮০ জনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × three =