উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নয়া পরীক্ষা বিধি, অসন্তোষ শিক্ষক মহলে!

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নয়া পরীক্ষা বিধি, অসন্তোষ শিক্ষক মহলে!

3 stocks recomended

কলকাতা: বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা৷ পরীক্ষায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ৷ এই মর্মে পরীক্ষকদের কাছেও বেশ কিছু নির্দেশিকা পাঠিয়েছে সংসদ৷ আর সেই নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ নির্দেশিকার বয়ানে বাক্য গঠন ও শিক্ষকদের বাড়তি ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে বলেও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শিক্ষক মহলে৷

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ড. মহুয়া দাসের স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশিকা পরীক্ষার পরিদর্শকের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বিতরণ করা হয়েছে৷ সেই নির্দেশিকার ৪০ নম্বর পাতায় ৭ নম্বর নির্দেশে লেখা হয়েছে, ‘‘পরীক্ষার দিনগুলোতে প্রতিটি কক্ষে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে প্রতিটি কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনজন ইনভিজিলেটর প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে আসন গ্রহণ করার পর অথবা প্রশ্ন পত্র বিতরনের আগে (১০টা থেকে ১০:১৫ মিনিটের মধ্যে) অবশ্যই কোনও প্রার্থীর কাছে মোবাইল ফোন নেই, এই বিষয়টি গ্যারান্টি করবেন৷ কোন মোবাইল ফোন নেই নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রশ্নপত্র বিতরণ হবে৷ Council Nominee/ DAC Member বিষয়ে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন থাকবেন৷’’ কিন্তু শিক্ষকদের একাংশের দাবি, এটা আবার কোন ধরনের বাংলা লেখা? ‘গ্যারান্টি করবেন’ কথাটার অর্থ কি? উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকায় এমন বয়ান  ঘিরে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷

অন্যদিকে, পরীক্ষায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সংসদ৷ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যে সমস্ত স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি রয়েছে, সেখানে মেটাল ডিটেক্টর মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ অন্তত ২৫০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে খবর৷ একই সঙ্গে স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার আগে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে৷
পরীক্ষা শুরুর আগে এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট৷ এছাড়াও এই প্রথম ২৫০ থেকে ৩০০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে মেটাল ডিটেক্টর৷ শরীর স্পর্শ না করে মোবাইল চিহ্নিতকরণে এই ব্যবস্থা বলে জানানো হয়েছে৷ এর আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারের উপর জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা৷ এবার সেই বিধি ভেঙে কোনও পরীক্ষার্থী যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে না পারেন, তার জন্য মেটাল ডিটেক্টর যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হবে৷

এছাড়াও যদি কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই টোকাটুকির মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে স্কুলের অনুমোদন পর্যন্ত বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে৷ মোবাইল নিয়ে কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে, তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার পর্যন্ত করা হতে পারে বলে৷ পরীক্ষা কেন্দ্র অভব্য আচরণ কিংবা পরীক্ষাকেন্দ্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার মতো একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷
গত বছরের তুলনায় এবার ৫ হাজার পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে৷ এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে ৭ লক্ষ ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী৷ এক কড়া বিধির পর প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার রোগ আদৌও কমবে? তাকিয়ে গোটা বাংলা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 2 =