সিডনির আকাশে-ওয়েলকাম মোদী! জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নরেন্দ্র মোদী

সিডনির আকাশে-ওয়েলকাম মোদী! জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নরেন্দ্র মোদী

নরেন্দ্র মোদী, নামটাই যেন জনপ্রিয়তার শিখরে। অন্তত সিডনির মানুষ প্রমাণ করল তাঁরা কতটা মোদীতে। সিডনির প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে নরেন্দ্র মোদী যেন ফ্যান ফ্যাক্টর। যিনি প্রবাসী ভারতীদের মন জয় করেছেন বিস্তৃত ভাবে। প্রবাসী ভারতীয়রা যতটা আপ্লুত তার থেকেও বেশি মোদীকে পেয়ে আনন্দের জোয়ারে অজি প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজ বন্ধু মোদীকে বলে উঠলেন দ্য বস। নরেন্দ্র মোদী অস্ট্রেলিয়াতে পা রাখার পরই অভ্যর্থনায় ঠাসা থাকে গোটা সময়। বিমানবন্দর থেকেই মোদী উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভেসেছেন। টানা বিনিয়োগের লক্ষ্যে দফায় দফায় অজি  শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। তারপরেই প্রবাসী ভারতীয় বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদী। সেই স্টেডুয়াম যেন মোদীময়। 
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অজি প্রধানমন্ত্রীও। বিষয়টা ঠিক এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যের বন্ধুত্ব কতটা পোক্ত তার প্রমাণ পাওয়া গেল মঞ্চেই। নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ সেক্ষেত্রে গুরুত্ব পেল।

মোদী বললেন, একটা সময় ভারত-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে থ্রি-সি নির্ধারণ করা হতো। অর্থাত্- কমনওয়েলথ, ক্রিকেট, ও কারি। এখন সেই সম্পর্ককেই থ্রি-ডি বলা হয়। অর্থাত্- ডেমোক্রেসি, ডায়াস্পোরা, দোস্তি….

মোদীর ভারত মাতা  কি জয় যেন প্রসারিত হল অনুষ্ঠান জুড়ে। প্রত্যেকেই শ্লোগানের সঙ্গে গলা মেলালেন। সিডনি যে মোদীর প্রিয় জায়গা তাও বার হার বললেন মোদী। এর আগেও অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখনও এতটাই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন। এবারও এর অন্যথা হল না। নরেন্দ্র মোদীকে আপন করল সিডনি।মঞ্চে যোগাসন থেকে শেন ওয়ার্নের মৃত্যু, সিনেমা থেকে মাস্টার শেফের কথা বললেন নরেন্দ্র মোদী। সিডনির কুদোস ব্যাঙ্ক এরিনা এদিন ছিল মোদীর নামেই। যেখানে মোদীর জন্যই হয়ত সেজে উঠেছিল গোটা মঞ্চ, গোটা অনুষ্ঠান মোদীর নামেই। এই বন্ধুত্বের বার্তা কূটনৈতিক খাতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে তাঁর এই সফর শুধু রঙিন নয় রাজনৈতিক খাতে এক অভিনব বার্তা দিচ্ছে। যেখানে গুরুত্ব পেল নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে বৈদিক মন্ত্রের উচ্চারণ। সবমিলিয়ে সিডনিতে মোদী ছেয়ে গেল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *