হায়দরাবাদ: বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনেকগুলো প্রশ্ন খাঁড়া করে দিয়েছে। বরং বলা ভাল, চিন্তার বেগ বেড়ে গেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। বিজেপি জোটকে বিহারে হারানো যায়নি, এদিকে কংগ্রেস, তৃণমূলের চিন্তা বাড়াচ্ছে আসাউদ্দিন ওয়েইসির মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা এআইএমআইএম। কারণ, বিহারের পর এবার বাংলা টার্গেট আসাউদ্দিনের। ইতিমধ্যেই বাংলায় ভোট লড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তার দল।
বিহারে ২০ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল ওয়েইসির এআইএমআইএম। তার মধ্যে ৫ টি আসনে জয়লাভ করেছে তারা। এই ফলেই আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ হারে বেড়েছে আসাউদ্দিন ওয়েইসির। আগামী বড় নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। বাংলা দখল করতে অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি, এবার বাংলায় আসর জমাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে আসাউদ্দিনের দল। কংগ্রেস তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে, তারা পরোক্ষভাবে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এই প্রেক্ষিতে আসাউদ্দিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, “তোমরা তাহলে কি চাও, আমরা নির্বাচনে লড়ব না? তোমরা মহারাষ্ট্রে শিবসেনার কোলে গিয়ে বসেছো, তোমাদের মুখে এই ধরনের কথা মানায় না। আর কেউ যদি আমায় জিজ্ঞাসা করে, আমি কেন নির্বাচনে লড়ছি, তাহলে আমি তাদের বলব, আমার নিজের দল রয়েছে, নির্বাচনে লড়ার অধিকার আমার আছে। আর এবার উত্তরপ্রদেশ কেন, বাংলাতেও নির্বাচনে লড়বে এআইএমআইএম। অপেক্ষা করো, বাংলাতে আমরা আসছি”। একই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে লড়ার জন্য কারোর অনুমতির দরকার নেই তাঁর এবং তাঁর দলের।
কংগ্রেস সংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছিলেন, বিজেপির হয়ে ভোট কাটছে এআইএমআইএম। বিহার নির্বাচনে এই ভাবেই তারা পাঁচটি আসন দখল করেছে। পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সাহায্য করেছে। কংগ্রেসের এই দাবির প্রেক্ষিতে তাদেরকে আক্রমণ করেন আসাউদ্দিন। একই সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে অধীরের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “বাংলায় তাঁর এলাকায় মুসলিমদের সঙ্গে কেন খারাপ আচরণ করা হচ্ছে, এর জবাব তাঁকে দিতে হবে”। একইসঙ্গে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে পুরো দমে লড়বে এআইএমআইএম। প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার আসাউদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমআইএমকে বিজেপির ‘বি-টিম’ বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।