৪৮টি শূন্যপদে আবেদনের পাহাড়! স্থগিত রাজ্য সরকারি পরীক্ষার প্রক্রিয়া

৪৮টি শূন্যপদে আবেদনের পাহাড়! স্থগিত রাজ্য সরকারি পরীক্ষার প্রক্রিয়া

কলকাতা: দেশ জুড়ে করোনা অতিমারীর আতঙ্ক কিছুটা কমতেই নুইয়ে পড়া অর্থনীতিকে সচল করতে তৎপর হয়েছে সরকার। সেই মর্মে নতুন বছরের শুরুতেই চালু হয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর মাঝেই রাজ্য সরকারের পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে (WBPCB) বিভিন্ন পদে নিয়োগে কিছু জটিলতা দেখা দিল।

সূত্রের খবর, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদ মাত্র ৪৮টি। এই পদগুলিতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। অনলাইন মাধ্যমেই গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র ভর্তি করেছিলেন চাকরীপ্রার্থীরা। পরীক্ষার জন্য অ্যাডমিট কার্ড বিলি করার কথা ছিল ১১ জানুয়ারি। কিন্তু হঠাৎই সেই অ্যাডমিট কার্ড বিলির প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ফলে চাকরীপ্রার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি।

কেন হঠাৎ চাকরির পরীক্ষা অ্যাডমিট বিলি প্রক্রিয়া স্থগিত করা হল? সূত্রের খবর, টেকনিক্যাল কারণের জন্যেই আচমকা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিন পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, মাত্র ৪৮টি শূন্য পদের জন্য যে বিপুল সংখ্যক চাকরীপ্রার্থীর আবেদনপত্র জমা পড়েছে তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তাঁরা। এটি তাঁদের কাছে ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। এর জেরেই তৈরি হয়েছে জটিলতা।

বিজ্ঞপ্তি

জানা গেছে, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওই পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে, রাজ্যের যে সমস্ত শহরে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল তার সংখ্যাও বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্ষদের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মোট ৪৮টি শূন্যপদের মধ্যে রয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার, জুনিয়র এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার, এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালিস্ট, সিনিয়র অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক, অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এনভায়রনমেন্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রভৃতি পদ। চলতি মাসের শেষের দিকেই এই সমস্ত পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পর্ষদের তরফ থেকে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি এবং প্রয়োজনে ২৫ জানুয়ারি প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে স্থির করা হয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন পরীক্ষার ব্যবস্থা কি দাঁড়ায়, তা দেখার জন্যেই কার্যত মুখিয়ে আছেন চাকরীপ্রার্থীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *