কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও এক জামিন৷ শনিবার জামিন পেলেন ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। ৩০০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে নিয়োগ দুর্নীতিতে জামিন পেলেন মোট ৬ জন অভিযুক্ত। তার মধ্যে শনিবারই জামিন পেয়েছেন পাঁচ জন।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওএমআর শিট পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল নাইসা৷ এই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে নেমে দিল্লি ও গুরুগ্রামে নাইসার অফিসে হানা দেয় সিবিআই। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি হার্ড ডিস্ক। সেই হার্ড ডিস্কের তথ্যের সঙ্গে ওএমআর শিটের তথ্যের বিস্তর ফারাক ধরা পড়ে। দেখা যায় অনেকেরই নম্বর ৫০ থেকে বেড়ে ৫৪ হয়ে গিয়েছে। কোও এক অদৃশ্য শক্তিতে আবার অনেকের নম্বর কমেও গিয়েছে। এই কারচুপিতে যুক্ত থাকার অভিযোগেই গত মার্চ মাসে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন নাইসার কর্তা নীলাদ্রি দাস৷
সিবিআইয়ের দাবি, ‘ঘুরপথে’ টাকা তুলতেন এই নীলাদ্রি। কিন্তু তিনি কখনওই নগদে লেনদেন করতেন না। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর যোগসাজশ ছিল৷ সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৫ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নীলাদ্রি। নাইসার আধিকারিক পদে থেকেও ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ‘এনডি ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা খুলেছিলেন। নাইসার পাশাপাশি ওই সংস্থার মাধ্যমেও এসএসসি-র ‘ওএমআর শিট’ বা উত্তরপত্রের নম্বর বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি সিবিআই-এর৷ ‘মিডলম্যান’ বা দালালদের নিয়ে একটি দল তৈরি করেছিলেন নীলাদ্রি। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সক্রিয় ভাবে তাঁর হয়ে কাজ করতেন ন’জন দালাল৷ শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, রাজ্য পুলিশ, খাদ্য দফতর, রেল ও সেনাবাহিনীতেও নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি কালো টাকা লুট করেছিলেন নীলাদ্রি৷