কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর জন্য বড় প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দুয়ারে সরকার’ হোক বা ‘স্বাস্থ্য সাথী’, ভোট পূর্ববর্তী আবহে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সবই। কিন্তু সরকারি ঘোষণা মেনে স্বাস্থ্য সাথীর পরিষেবা সমস্ত হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করতে এবং রাজ্যবাসীর সুবিধা নিশ্চিত করতে এবার স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে ফের বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
ন্যূনতম ১০টি বেড থাকলেই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অংশীদার হতে হবে রাজ্যের হাসপাতাল ও নার্সিংহোম গুলিকে, এদিন এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। সরকারি হোক বা বেসরকারি, যে কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। বস্তুত, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে সাধারণ মানুষ হাসপাতালে ঘোষিত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছিল প্রথম থেকেই। কার্ড হাতে রোগী ফিরিয়ে দিয়েছে অনেক হাসপাতালই, বিশেষত বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম গুলির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জোরদার হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে রোগী ফেরালে হাসপাতালের লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় থাকা রোগী বা তার পরিবারের সদস্যকে পরিষেবা প্রদান না করলে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট (রেজিস্ট্রেশন, রেগুলেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি) অ্যাক্ট ২০১৭’ প্রয়োগ করা হবে। বাতিল হবে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স।”
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী একাধিক হাসপাতাল ও নার্সিংহোমই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে নাম লিখিয়েছে বলে দাবি করেছেন ডঃ অজয় চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “এদিন প্রায় ১০০টি বেসরকারি হাসপাতাল প্রকল্পে নাম লিখিয়েছে, আশা করি বাকিরাও আগামী ২৪ ঘন্টা ্র মধ্যেই স্বাস্থ্য সাথীর আওতাভুক্ত হবে। এরপরও নিয়ম না মানলে কড়া অবস্থান নেব।”