আরও ছাড় পেতে চান আয়করে? দেখে নিন কৌশলী কিছু উপায়

আপনার পরিচিত উপায় গুলি ছাড়াও আয়কর থেকে হতে পারে অতিরিক্ত সাশ্রয়

imagesmissing

নয়াদিল্লি: একে করোনা অতিমারী পরবর্তী বেকারত্বের জ্বালা, তার উপর দিনের পর দিন ক্রমবর্ধমান পেট্রোল ডিজেল কিংবা রান্নার গ্যাসের দাম, মূল্যবৃদ্ধির বাজারে পকেটে টান পড়তে বাধ্য মধ্যবিত্তের। এমতাবস্থায় সরকারকে প্রদত্ত করের পরিমাণ যদি খানিক কমানো যায়, তবে মন্দ হয় না, কী বলেন? আয়কর কমানোর যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরেও কিছু উপায় বেঁচে থাকে যার মাধ্যমে কর সাশ্রয়ের সুযোগ পাওয়া যায়। কী সেই উপায়? আসুন জেনে নিই তার কয়েকটা। 

স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম:

৮০ ডি সেকশন অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের মাধ্যমে আয়কর সাশ্রয়ের সুযোগ থাকে। এই নিয়ম অনুযায়ী নিজের জন্য কিংবা নিজের স্ত্রী অথবা সন্তানের জন্য অন্তত ২৫ হাজার টাকার স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম করাতে হয়। এর ফলে দেয় করে অতিরিক্ত ছাড় পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, কেউ যদি নিজের বাবা মায়ের জন্যেও স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম করান তাহলেও পাওয়া যায় অন্তত ২৫ হাজার টাকার ছাড়। বাবা মা সিনিয়র সিটিজেন হলে ছাড়ের পরিমাণ হতে পারে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। 

বাড়ি ভাড়া বাবদ কর ছাড়:

সেকশন ৮০ জি জি অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া বাবদ কিছু কর সাশ্রয়ের সুযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যাঁরা ভাড়া বাড়িতে থাকেন এবং HRA দেওয়া হয় না এমন কোনো জায়গায় কর্মসূত্রে থাকেন তাঁরা কর ছাড় পান। ভাড়া বাড়িতে থেকে ব্যবসা করলেও এই ছাড় পাওয়া যায়। 

জাতীয় পেনসন স্কিম:

৮০ সিসিডি সেকশনের নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় পেনশন স্কিমে যদি বছরে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা হয়, তবে আয়করে ছাড় পাওয়া সম্ভব। এছাড়া, NPS Tier 1 অ্যাকাউন্ট-এ বিনিয়োগ করলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। 

চিকিৎসা সংক্রান্ত কর ছাড়:

বিশেষ কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে ৮০ ডি ডি বি সেকশন অনুযায়ী এই কর ছাড় পাওয়া যায়। রোগাক্রান্ত ব্যক্তি স্বাস্থ্য পরিষেবা ও চিকিৎসার খরচ বাবদ আয় করে ছাড় দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ৪০ হাজার থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া সম্ভব। রোগী সিনিয়র সিটিজেন হলে ছাড়ের পরিমাণ বেশি হয়। 

পৈতৃক বাড়িতে থাকা সংক্রান্ত কর ছাড়:

সেকশন ১০ (১৩ এ) অনুযায়ী এই কর ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কর্মচারী HRA পেলেও মা বাবার সঙ্গে পৈতৃক বাড়িতেই বাস করেন। এক্ষেত্রে যদি তাঁরা বাড়ি ভাড়া বাবদ মা বাবাকে মাসিক কিস্তিতে টাকা দেন তবে কর ছাড় পেতে পারেন তাঁরাও। ভাড়ার কাগজ, ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের প্রমাণ ইত্যাদি এক্ষেত্রে দরকার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *