ফের মানবিক অরিজিৎ, ক্লান্ত পথিকদের তেষ্টা মেটাতে বাড়ির সামনে রাখলেন জল-নকুলদানা

ফের মানবিক অরিজিৎ, ক্লান্ত পথিকদের তেষ্টা মেটাতে বাড়ির সামনে রাখলেন জল-নকুলদানা

 কলকাতা: তাঁর সুরেলা কণ্ঠে বুঁদ আসমুদ্র হিমাচল৷ তবে শুধু শিল্পী হিসাবেই নয়, বারবার সামনে এসেছে বলিউডের পয়লা নম্বর প্লেব্যাক সিঙ্গার অরিজিৎ সিং-এর মানবিক রূপ৷ যা মন ছুঁয়েছে তাঁর অনুরাগীদের। জানা গেল, এই প্রখর রৌদ্রে ক্লান্ত পথিকরা যাতে তেষ্টায় কষ্ট না পান, তার জন্য অরিজিৎ-এর বাড়ির সামনে নিত্যদিন রাখা থাকে জল, নকুলদানা। ঠিক যেভাবে আগেকার দিনে অতিথিদের সেবা করা হত, তেমন ভাবে।

দেশের পয়লা নম্বর গায়ক হলেও তাঁর মধ্যে কোনও তারকাসুলভ আচরণ নেই৷ তিনি রাজা হয়েও যেন সন্ন্যাসী৷ তাঁর সুরেলা কণ্ঠে দেশ তো বটেই গোটা বিশ্বের মানুষ মুগ্ধ৷ কিন্তু, কোনও আতিশয্য বা বিলাসিতা নেই অরজিতের জীবনে৷ তিনি বরাবারই মাটির মানুষ৷ মাটির কাছে থাকতেই ভালোবাসেন৷ বলিউডে দাপিয়ে বেড়ালেও মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে পৈতৃক ভিটে ছেড়ে যাননি। অতিমারীর সময়েও গায়কের মানবিক মুখ দেখেছেন ভক্তরা। সাদামাটা সেলিব্রিটি অরিজিৎকে কাছ থেকে পেতে নিত্যদিনই তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমান ইউটিউবার, ভ্লগাররা৷ তাঁরাই আবিষ্কার করেছেন গায়কের এই মানবিক উদ্যোগ।

এক সংবাদমাধ্যমের দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিনই নাকি অরিজিৎ সিংয়ের বাড়ির সামনে রাখা থাকে জলের পাত্র ও নকুলদানা। ভূমিপুত্র হিসেবে জিয়াগঞ্জের মানুষের প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা, তা কারও অজানা নয়৷ অন্যদিকে, গায়কের বাবাও একজন খাঁটি মানুষ৷ দুস্থ মানুষদের বিনামূল্যে খাবার বিলি করেন অরিজিতের বাবা কক্কর সিং।  জিয়াগঞ্জে ‘হেঁশেল’ নামে তাঁদের একটি রেস্তোরাঁও আছে৷ সেখানে সামান্য কিছু টাকায় মেলে ভরপেট খাওয়া৷ এবার গায়কের বাড়ির সামনে নকুলদানা, জল দেখে নতুন করে আবেগে ভাসলেন ভক্তরা৷ তাঁরা বলছেন- “একটাই তো মন, আর কতবার জিতবেন দাদা?” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + two =