পড়ে যাওয়ার পর ছাত্রকে ফেলে রেখেই কি হস্টেলে বসেছিল ‘জরুরি বৈঠক’? উত্তর খুঁজছে পুলিশ

পড়ে যাওয়ার পর ছাত্রকে ফেলে রেখেই কি হস্টেলে বসেছিল ‘জরুরি বৈঠক’? উত্তর খুঁজছে পুলিশ

 কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কিছুতেই কাটছে না রহস্যের জট৷ ধৃতদের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি৷ এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, হোস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে গিয়ে যখন কাতরাচ্ছিল প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া, তখনই কি হস্টেলে বসেছিল ‘জরুরি বৈঠক’? গুরুতর আহত ছাত্রকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা না করেই কি বৈঠকে বসেছিল ওঁরা? কেন তড়িঘড়ি বৈঠকে বসার প্রয়োজন পড়ল? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এটুকুই না৷ আরও অভিযোগ, ওই ছাত্র হস্টেলের নীচে যে জায়গায় পড়ে গিয়েছিলেন, সেই জায়গাটি ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়টিও নজরে রয়েছে পুলিশের। তবে তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেই রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা সহজ হবে না। এদিকে, যাদবপুরকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী প্রিজন ভ্যান থেকে দাবি করেন, ৯ অগাস্ট রাতে হোস্টেলে কোনও র্যা গিং হয়নি। ওই ছাত্র নিজেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন।

ঘটনার দিন রাত প্রায় ১১টা ৪৫ মিনিটে হোস্টেল থেকে ফোন যায় আরেক প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষের কাছে। তিনি বিক্রমগড়ের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই তিনি চলে আসেন হোস্টেলে। তাঁর নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় হস্টেলের গেট। এখন প্রশ্ন উঠছে, বিক্রমগড় থেকে জয়দীপের মেন হস্টেলে  আসা পর্যন্ত কি মেঝেতেই পড়েছিল আহত ছাত্র? ততক্ষণ কি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি? পুলিশের একাংশের মতে,  জয়দীপ না আসা পর্যন্ত ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থাই হয়নি৷ সঠিক সময়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হয়তো বাঁচানো যেত ওই ছাত্রকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + eighteen =