কলকাতা: সাতসকালে শ্যুটআউট৷ উত্তরপ্রদেশে খতম কুখ্যাত গ্যাংস্টার৷ ক্ষমতায় আসার পর বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, ‘মাফিয়াকো মিট্টি মে মিলা দেঙ্গে’৷ অর্থাৎ মাফিয়াদের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেব। একের পর এক ঘটনায় সেই কথাই সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে। পুলিশের খাতায় থাকা ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ গ্যাংস্টার অনিল দুজানার পর এবার কৌসাম্বিতে পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার মহম্মদ গুফরান। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা এবং ডাকাতি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
দুষ্কৃতীর নাম মহম্মদ গুফরান। উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলায় মঙ্গলবার সকালে তাঁর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। গুফরান কোথায় গা ঢাকা দিয়ে আছেন, জানতে পেরে গিয়েছিল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কৌশাম্বীর সমদা সুগার মিলের কাছে সেই ডেরায় হানা দিয়েই মেলে সাফল্য। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশকে দেখে গুফরান পালানোর চেষ্টা করেন। বাইকে চড়ে তিনি পালাচ্ছিলেন বলে খবর। পুলিশ তাঁকে ঘিরে ফেলে। গুফরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ভোর ৫টা নাগাদ এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাস্থল থেকে গুফরানের বাইক এবং পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুফরানের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ১৩টি মামলা চলছিল। একাধিক খুন, খুনের চেষ্টার পাশাপাশি প্রতাপগড় এবং সুলতানপুরের ডাকাতিতেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি৷ তন্ন তন্ন করে গুফরানের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে তাঁকে এনকাউন্টার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
কৌশাম্বীর এসপি ব্রিজেশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গুফরানের মাথার দাম ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তাঁর সন্ধান দিতে পারলে বা তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলেই ওই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। এদিন গুলি লাগার পরই গুফরানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রায় ১১ হাজার এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। তাতে মোট ১৮৫ জন দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে।