কলকাতা: আসছে ভোট৷ নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যে রাজনীতির ময়দানে মেনে পড়েছে শাসক-বিরোধী শিবির৷ নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করতে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ বাংলায় দ্রুত ভোট করানোর লক্ষ্যে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ আদৌ শেষ হবে? গোটা বিষয়টি জেলাশাসকদের কাছে জানতে চায়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ একই সঙ্গে স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির বিষয়েও দেওয়া হয়েছে নির্দেশ৷ সূত্রের খবর, ভোটার তালিকা সংশোধনের পাট চুকিয়ে যাওয়ার পর যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে, তা খতিয়ে দেখতে বাংলায় আসতে পারেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা পর্যবেক্ষক৷
যদিও, ভোটার তালিকা অডিট করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই দাবি জানিয়েছে বিজেপি৷ মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ভোটারদের সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে, এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। এভাবে ভোটার তালিকা বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মানুষের প্রতি তাঁর উপদেশ, ‘‘জেলায় অস্বাভাবিক হারে ভোটার বাড়লে নির্বাচন কমিশনকে জানান, অডিট করার আবেদন করুন।’’ স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির দাবিও জানিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট৷ জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে ভোটার তালিকা দেখে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷
সূত্রের খবর, স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকার খতিয়ে দেখতে যে কোনও সময় বাংলায় আসতে পারে পর্যবেক্ষকদল৷ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে ইতিমধ্যেই কড়া মনোভাব নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব ১১টি জেলায় সফর করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন৷ গত ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত হয় খসড়া ভোটার তালিকা রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১৮ লক্ষ৷ তালিকায় নাম তোলা, নাম বাদ দেওয়া, সংশোধন সংক্রান্ত প্রায় ৫০ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েছে কমিশনের কাছে৷
ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১ জানুয়ারি রাজ্যের সব জেলাশাসক ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের অফিসারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন৷ সেখানে ভোটার তালিকা তৈরির বিষয়ে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শেষ করা যেতে পারে কি না জানতে চান৷