নিউইয়র্ক: টানা দু’দিন ধরে চলতে পারে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গণনা। এমনটাই ইঙ্গিত মিলছে। এর মূল কারণ, একাধিক কেন্দ্রে ভোট গণনায় বাড়তি সময় লাগবে। সেই কারণেই শুক্রবার এর আগে সম্পূর্ণ ভোট গণনার সম্ভব নয় বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই পেনসিলভেনিয়া, মিচিগান এবং উইসকনসিন থেকে খবর এসেছে যে, সেখানে এখনো পর্যন্ত ভোট গণনা ৯০ শতাংশের কাছাকাছি যায়নি। মনে করা হচ্ছে, শুক্রবার এর আগে এই তিন জায়গা থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের খবর আসবে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, শুক্রবারের আগে মিচিগান এবং উইসকনসিনের ফলাফল চলে আসলেও, পেনসিলভেনিয়ার ফলাফল আসতে আসতে শুক্রবার হয়ে যাবে। এই খবর সামনে আসার পরেই, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। তবে জানা গিয়েছে, একেবারে একতরফা নয়, তুল্য মূল্য লড়াই করছে বিডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৩৮ টি প্রদেশে এগিয়ে রয়েছেন বিডেন, ২১৩ টিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে জেতার বিষয়ে আশাবাদী দুই দলই। ইতিমধ্যেই নিজের জয় ঘোষণা করে সমর্থকদের উজ্জীবিত করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী তথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বিডেনেরও নিজের জয় নিয়ে যথেষ্ট ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, জর্জিয়া, মিছিগান, ফ্লোরিডা, টেক্সাস দখল রাখতে চলেছে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তুল্য মূল্য বিচারে বিডেন এখনো কিছুটা হলেও এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে, তবে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার আগে নিশ্চিতভাবে কোন কিছুই অনুমান করা সম্ভব হবে না।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের একাংশ তার বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ট্রাম্প বিরোধী সাংবাদিকরা কার্যত সর্বশক্তি দিয়ে তাকে বদনাম করার চেষ্টা করেছে, তার পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খবর করে তাকে কোণঠাসা করতে চেয়েছে। একই পদ্ধতি গ্রহণ করে তার অনুগামীদেরও সতর্ক করতে চেয়েছে। নিজের জীবনকে বিতর্কিত করার দায় স্বীকার করতে পারেন খোদ ট্রাম্পও। কারণ বিভিন্ন বিষয়ে উত্তেজক মন্তব্য করে আমেরিকার সাধারণ মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনি। দেশজুড়ে ট্রাম্পকে নিয়ে বিক্ষোভও কম হয়নি। রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে চলতি নির্বাচনের ফলাফলে ট্রাম্প যেভাবে এগোচ্ছেন, তাতে ফের একবার আশঙ্কা করছেন আমেরিকার সাংবাদিকদের একাংশ।