গত তিন সপ্তাহে চারটি! এবার জেগে উঠল গুয়াতেমালার ‘ফুয়েগো’ আগ্নেয়গিরি

গত তিন সপ্তাহে চারটি! এবার জেগে উঠল গুয়াতেমালার ‘ফুয়েগো’ আগ্নেয়গিরি

কলকাতা:  জেগে উঠছে একের পর এক আগ্নেয়গিরি৷ হাউয়াই দ্বীপের মাউনা লোয়া, ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সেমেরু, চিলির লাসকারের পর লাভা উদগীরণ শুরু করল আমেরিকার অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি গুয়াতেমালার ‘ফুয়েগো’। বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে এটা একটি। এই নিয়ে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে জেগে উঠল চারটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি৷ 

আরও পড়ুন- বিরোধী বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’ ঘিরে রণক্ষেত্র ঢাকা, গ্রেফতার একাধিক নেতা

শনিবার রাত থেকে মধ্য আমেরিকার এই জীবন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাতের জেরে বাড়তে শুরু করেছে লাভা প্রবাহ। ফুয়েগোর লাভা উদগীরণের বেশ কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে৷ যেখানে দেখা গিয়েছে ফুয়েগোর মুখ থেকে গলগল করে লাভা এবং ধোঁয়া নিঃসৃত হচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে ছাই৷ গুয়াতেমালা সিটি কর্তৃপক্ষের তরফে রবিবারই দেশের বৃহত্তম লা অরোরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং একটি প্রধান জাতীয় সড়ক সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়৷

স্প্যানিশ ভাষায় ফুয়েগোর অর্থ হল আগুন৷ রবিবার থেকেই ফুয়েগোর মুখ থেকে লাভা এবং গলা পাথর আগ্নেয়গিরির ঢাল বেয়ে নেমে আসতে শুরু করে। আগ্নেয়গিরির উপর ২ কোলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় আকাশ ছাইয়ে ঢাকা পড়ে৷ সেই ছাই ৩৫ কিলোমিার দূরে অবস্থিত গুয়াতেমালা শহরে ঢুকতে শুরু করেছে বলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর৷ গুয়াতেমালার রাজধানী গুয়েতামালা সিটি থেকে ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত লা অরোরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ঢাকা পড়েছে ছাইয়ের আস্তরণে৷ ফলে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে আসা দুটি বিমানকে মাঝপথ থেকেই অন্য দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্থানীয় সময় অনুযায়ী দুপুরের দিকে বাতাসের গতির অভিমুখ বদল হলে ছাই উড়ে আসা কিছুটা বন্ধ হয়েছে বলে খবর৷ 

আগ্নেয়গিরি

হাইওয়ে পুলিশের মুখপাত্র কার্লোস অ্যাকুইনো জানিয়েছেন, লাভা থেকে সৃষ্ট ছাইয়ের প্রকোপে রবিবার সকালে দক্ষিণ এবং মধ্য গুয়াতেমালার সংযোগকারী জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হলেও বিকেল থেকে ফের  যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

ফুয়েগো একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি৷ গড়ে প্রতি চার থেকে পাঁচ বছর অন্তর ফুয়েগোর জ্বালামুখ থেকে লাভা নিঃসরণ হয়। শেষ বার অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল ২০১৮ সালে৷ সেই অগ্ন্যুৎপাতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ‘সান মিগুয়েল লস লোটেস’ নামে একটি গ্রাম৷ মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ২৫০ জনের।২০১৮-র ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে তৎপর প্রশাসন। আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন গ্রামগুলি থকে এখনও কাউকে সরানো না হলেও গ্রামের সাধারণ মানুষকে খাবার, ওষুধ-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গুয়াতেমালায় আরও দু’টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। একটি দেশের পশ্চিমে সান্তিয়াগুইটো আগ্নেয়গিরি। অপরটি দক্ষিণে প্যাকায়া আগ্নেয়গিরি।