মস্কোর কাছে ‘নিউক্লিয়ার ট্রেন’, ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্রহানার পরিকল্পনা করছেন পুতিন?

মস্কোর কাছে ‘নিউক্লিয়ার ট্রেন’, ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্রহানার পরিকল্পনা করছেন পুতিন?

মস্কো: গত আট মাস ধরে যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে ইউক্রেন৷ রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ছিন্নভিন্ন কিয়েভ৷ তবে হার মানেনি৷ বরং শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইক্রেনীয় সেনা৷ তাঁদের পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার পরাজয় প্রায় নিশ্চিত। এদিকে, ইউক্রেনকে পরাস্ত করতে যে কোনও পন্থা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ সব অস্ত্র ব্যর্থ হলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতেও পিছপা হবেন পুতিন। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ব্রিটেনের এক প্রাক্তন সেনাকর্তা।

আরও পড়ুন- সাগরের অতলে গ্যাসের পাইপে ফাটল! কী ভাবে ঘটল বিপত্তি, ক্ষতিই বা কত? পিছনে কি রাশিয়া?

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর-জেনারেল জোনাথন শ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘‘পুতিনের কাছে পালাবার পথ নেই। এই যুদ্ধে তাঁর পরাজয় নিশ্চিত।’’ অবসরপ্রাপ্ত ওই ব্রিটিশ সেনাকর্তার সুর শোনা গিয়েছে নেটোর মুখেও। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের নানা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  খুব শীঘ্রই একটি পারমাণবিক ওয়ারহেড (যার সাহায্যে পরমাণু অস্ত্র ছোড়া হয়)-এর মহড়া শুরু করতে চলেছে রাশিয়া। ইতিমধ্যেই নেটোর সদস্য দেশগুলিকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনের একের পর এক গ্রাম-শহর থেকে পিছু হঠতে শুরু করেছে রাশিয়া। অক্টোবরের গোড়াতেই রুশ বাহিনীকে পর্যদস্তু করে প্রায় ডজনখানেক গ্রাম-শহর উদ্ধার করে আনে ভলোদিমির জেলেনস্কির বাহিনী। সূত্রের দাবি, ৩ অক্টোবর ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খারসন শহরের খুব কাছে চলে আসে ইউক্রেনীয় সেনারা। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীর যাবতীয় কৌশল ভেস্তে দিয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী৷ এমনকি, রুশ সেনাদের রসদ সরবরাহকারী পথও বন্ধ করে দিয়েছেন ইউক্রেনীয়রা।  রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সমর্থনকারী ব্লগারদের দাবি, খারসনের কাছ থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে রুশ বাহিনী। 

ওই ট্রেনটি দ্বাদশ মুখ্য অধিদফতর নামে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোপন ইউনিটের অধীনস্থ। রুশ সেনাবাহিনীর এই ইউনিটটি সে দেশের পরমাণু অস্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত৷ যদিও এটি রুশ সেনার কৌশলের অঙ্গ হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ক্রেমলিনের উত্তর দিকে এগোতে থাকা ওই ট্রেনটিতে একটি কামান-সহ অস্ত্রবোঝাই গাড়ি উঠতে দেখা গিয়েছে। তবে ট্রেনটির গন্তব্য ঠিক কোথায়, সে সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি।

যুদ্ধবিশারদদের আশঙ্কা, ডুবোজাহাজ থেকে ‘পোসেইডন’ উৎক্ষেপণও করতে পারে মস্কো। ওই টর্পেডো ড্রোনটি আবার পারমাণবিক অস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। যুদ্ধের মাঝে সাইবেরিয়া এবং উত্তর মেরুর অঞ্চলের মাঝে কারা সাগরে ওই টর্পেডোর মহড়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।