চরম রূপ নিল অশান্তি! অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর

তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ির দাবি, এই ঘটনায় কোনও রাজনীতির রং নেই। সবটাই মানুষের স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদ বলে তাঁর দাবি।

বোলপুর: গোলমালটা শুরু হয়েছিল আজ সকাল থেকেই। ঐতিহ্যবাহী পূর্বপল্লির মাঠ যা মেলার মাঠ নামে সুপরিচিত তা পাঁচিল দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে দলে দলে স্থানীয়রা ভিড় জমাতে শুরু করে। দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ির নেতৃত্বে শয়ে শয়ে লোক এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পাঁচিল নির্মাণের জন্য রাখা ইট ছুড়ে মারতে থাকে লোহার গেট লক্ষ্য করে। এমনকী জেসিবি মেশিন (বুলডোজার) এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় রতনপল্লি এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচিল। 

বুলডোজার এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বিশ্বভারতীর পাঁচিল। 

সকাল থেকে ক্রমে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিশ্বভারতী চত্বর। পাঁচিল নির্মাণের জন্য রাখা ঢালাই মেশিন ফেলে দেওয়া হয়। তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ির দাবি, এই ঘটনায় কোনও রাজনীতির রং নেই। সবটাই মানুষের স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদ বলে তাঁর দাবি। বিশ্বভারতীর আচার্য তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এই ঘটনায় ফের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বভারতীর আইন শৃঙ্খলা উদ্বেগজনক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এই শিক্ষামন্দিরে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। উপাচার্যের কথা অনুযায়ী বহিরাগত্রা এসে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। সিএস, ডিএম, এইচএস, এসপি এবং মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফোন করলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।’

ভাঙার চেষ্টা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোহার গেট। 

এদিকে সকাল থেকে এই তাণ্ডব চলার পর অবশেষে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্বভারতী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আশ্রমিক এবং পড়ুয়াদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নরেশ বাউড়ির দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের লোকেরা অনেকদিন ধরেই শান্তিনিকেতন চত্বরে জমি অধিগ্রহণ করে চলেছে। পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু হওয়ায় তাই এই তাণ্ডব। ওদিকে, রাজ্যপালের উদ্বেগ সম্বলিত টুইট উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, জেলা আধিকারিকরা বিশ্বভারতীর বিষয়টা পর্যাওলোচনা করে যা করার করবেন।        
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − six =