আহমেদাবাদ: ইংল্যান্ডকে ৮ রানে পর্যদুস্ত করে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-২ সমতা ফিরিয়েছে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত ইংল্যান্ডের জন্য ১৮৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল। কিন্তু ইয়ন মর্গানের দল ২০ ওভারের শেষে ৮ উইকেট খুইয়ে ১৭৭ রানেই থেমে যায়। মাত্র ৮ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় দল। পাশাপাশি, সিরিজে এই প্রথম টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করেও কোনও দল জিতল, সিরিজের প্রথম তিনটে ম্যাচেই দ্বিতীয় ব্যাট করা দলই জিতেছে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচের তারকা হলেন সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়া।
তবে, ম্যাচের শেষের দিকে উত্তেজনা আরও টানটান হয়। শেষ ৩ বলে যখন মাত্র ১২ রান দরকার ছিল তখন শার্দুল ঠাকুরের দুটি ওয়াইডে বলে রানের ব্যবধান কমে ১০’এ এসে দাঁড়ায়। যদিও এরপর শেষ তিন বলে মাত্র ১ রান দেন শার্দুল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে যখন ৪ ওভারে ইংল্যান্ডকে জিততে গেলে দরকার ৪৪ রান, সেই সময়ে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে গিয়ে বসতে দেখা যায়। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব তখন সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মার হাতে। তবে কেন এমনটা হল? কেন ডাগআউটে গিয়ে বসে ছিলেন কোহলি? ম্যাচ শেষে নিজেই প্রকাশ করলেন তার আসল কারণ। তিনি জানিয়েছেন, “ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বেকায়দায় কোনও চোট পাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
এদিনের ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের সামনে এই নিয়ে ক্যাপ্টেন কোহলি টি-২০ সিরিজের আগে হওয়া টেস্ট সিরিজের একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “টেস্ট সিরিজের সময় একটি ম্যাচে যখন আমি জিঙ্কসের(অজিঙ্কে রাহানে) পাশে ফিল্ডিং করছিলাম এবং তখন ও একটি ক্যাচে স্পষ্টতই বলটি ধরেছিল। তবে ও পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল না বলে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাওয়া হয়েছিল। যদি ফিল্ডারের মনেই সন্দেহ থাকে তাহলে আমার মনে হয় না স্কোয়ার লেগ থেকে আম্পায়ার তা দেখে নির্দিষ্ট সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে সফট সিগন্যাল বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং এটি অত্যন্ত জটিল।”
১৪ তম ওভারে স্যাম কারেনের বলে ডেভিড মালানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু সেই ক্যাচ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক দেখা দেয়। বারবার রিপ্লে দেখার পরও অনফিল্ড আম্পায়ারের সফট সিগন্যাল আউটকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার। যদিও রিপ্লেতে বলের একটি অংশ মাটিতে ছুঁয়ে গেছে বলে মনে হলেও খাঁটি প্রমাণের অভাবে অনফিল্ড আম্পায়ারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পাল্টানো যায়নি। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরাট জানিয়েছেন, “এইধরনের কয়েকটি সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের পুরো মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমি জানি না কেন আম্পায়ারদের জন্য ‘আমি জানি না’ বলে একটি কল থাকতে পারে না? আজকে আমাদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, ভবিষ্যতে অন্য কোনও দলকে এর ফল ভুগতে হতে পারে। এই বিষয়গুলি যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। খেলার নিয়মগুলি সহজসরল ও সমান্তরাল রাখা হোক, যাতে সকলের পক্ষে তার বোঝা সম্ভব।”