চন্ডীগড়: সদ্য মা হয়েছেন চন্ডীগড়ের ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু মাতৃত্বের দায়িত্ব পেয়ে নিজের কর্মজীবন থেকে প্রয়োজনের বেশি ছুটি নিতে চাননি। সদ্যোজাতকে কোলে নিয়েই ব্যস্ত রাস্তার মাঝে পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের রোজকার ডিউটি। দিন কয়েক আগে সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ে যায় শোরগোল।
সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে ডিউটি করা সেই ভাইরাল ভিডিওর ট্রাফিক কনস্টেবল প্রিয়াঙ্কাকে পড়তে হয়েছে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কোপে, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে নিজের কাজের জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে ওই কনস্টেবলকে। কেন ব্যস্ত গাড়ির রাস্তায় কর্তব্যরত অবস্থায় দুধের শিশুকে নিয়ে ডিউটি করছিলেন তিনি? দিতে হবে তার জবাব।
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ ট্রাফিক পুলিশের ওই মহিলা কনস্টেবলের কাজের ভিডিও করেন জনৈক পথচারী। তাতে দেখা যায়, একটি বাচ্চাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ট্রাফিকের ডিউটি করছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার সহকর্মী আর এক মহিলা জানান, বাচ্চাটি প্রিয়াঙ্কারই সন্তান। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি প্রিয়াঙ্কা। তবে ডিপার্টমেন্টের কোপে যে বিশেষ চাপে রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।
জানা গেছে, শুধু কোলে সন্তান নিয়ে ডিউটি করাই নয়, প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে দেরি করে কাজে আসার অভিযোগও রয়েছে। কাজে প্রায়ই দেরি করে যোগ দেওয়ায় এর আগে ইতিমধ্যেই কর্মক্ষেত্রের সিনিয়ররা তাঁকে খানিক ভর্ৎসনা করেছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার তাঁর গন্তব্য স্থলে পৌঁছোতে অন্তত ৩ ঘন্টা দেরি করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। যেখানে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল সকাল ৮টায়, সেখানে যেতে যেতে তিনি বাজিয়ে দেন ১১ টা। এমনকি সদ্যোজাতের কারণে কাজে অসুবিধা হলে দিন কয়েকের জন্য ছুটি নেওয়ার উপদেশও দেওয়া হয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে, কিন্তু তিনি তা করেননি।
প্রিয়াঙ্কার এক সহকর্মী জানিয়েছেন, বাচ্চাটি এতই ছোটো যে মা কে ছাড়া থাকতে পারে না। যখনই সে কাঁদতে শুরু করে, প্রিয়াঙ্কার স্বামী অথবা পরিবারের অন্য কেউ ডিউটির জায়গাতেই বাচ্চাকে নিয়ে আসেন। মায়ের কোলে কিছুক্ষণ থাকার পর শান্ত হয় শিশু।