প্রশাসনের আচরণ বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং অমানবিক, বলছে বন্দি কবির পরিবার

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা, কীভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে, তাতে কী ধরনের ঝুঁকি রয়েছে এই সবকিছু নিয়ে স্বচ্ছ সরকারি তথ্য জানা পরিবারের অধিকার। কিন্তু সংশ্লিষ্ট জেল, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতর গাফিলতি করে পরিবারকে কোনও রকম খবরাখবর দিচ্ছে না।’

মুম্বই: বয়স ৮১। একেই অসুস্থ ছিলেন, তার ওপর আবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওইয়ার কথা জানানো হয়েছে পরিবারকে। এছাড়াও অশীতিপর কবি ভারভারা রাওকে নিয়ে আরও নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সামনে এসেছে তাঁর মাথায় চোট লাগার কথাও। এমত পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কাছে কবির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সঠিক খবর জানানোর দাবি করল তাঁর পরিবার।

অনেকদিন ধরেই বন্দি হয়ে আছেন কবি ভারভারা রাও। তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়ার এবং বিশেষত করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে প্রবল উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজন। প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কারাগারের তরফে পরিষ্কার করে কিছুই জানানো হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কবির পরিবার। সোমবার সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন, আইনি হেফাজতে থাকা কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবরাখবর না জানানো বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং অমানবিক। পরিবারের দাবি, কবির করোনা আক্রান্ত হওয়াই একমাত্র খবর যা তাঁরা সরকারি সূত্রে জানতে পেরেছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘মাথায় আঘাত পাওয়া, দু’দিন আগে অবস্থার অবনতি হওয়া এবং নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে জড়িত বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।’

আরও পড়ুন: করোনা-জয়ী দিদিকে স্বাগত জানাতে বোনের কীর্তি ভাইরাল, দেখুন ভিডিও

আরও জানিয়েছেন, ‘সরকারি এবং স্বচ্ছ তথ্যের অভাবের মধ্যে একাধিক গুজব, জল্পনা, অর্ধসত্য পরিবার এবং বন্ধুবর্গের উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে।’ কবির মাথায় আঘাত পাওয়ার কথা শুনে তাঁরা প্রবল বিচলিত বলেও জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা, কীভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে, তাতে কী ধরনের ঝুঁকি রয়েছে এই সবকিছু নিয়ে স্বচ্ছ সরকারি তথ্য জানা পরিবারের অধিকার। কিন্তু সংশ্লিষ্ট জেল, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতর গাফিলতি করে পরিবারকে কোনও রকম খবরাখবর দিচ্ছে না।’

আরও পড়ুন: ‘বিকাশ এনকাউন্টার তদন্ত কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতি নয়’

পরিস্থিতি বিবেচনা করে কবি ভারভারা রাওয়ের স্ত্রী পি হেমলতা এবং তিন কন্যা পি সহজা, পি অনলা এনং পি পবনা দাবি করেছেন, তাঁদের কবির সঙ্গে অবিলম্বে দেখা করতে দেওয়া উচিত। কারণ এই মুহূর্তে কবি নিজে কিছু করার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই। দেখা করতে দিলে তাঁরা চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে সে ব্যাপারে নজর দিতে পারবেন। পরিবারের আরও দাবি, কবির বয়স, স্বাস্থ্য এবং করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মহারাষ্ট্র সরকারের অবশ্যই অন্তবর্তীকালীন জামিন দেওয়ার জন্য আইনি সম্মতি দেওয়া উচিত৷
 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − 4 =