দুয়ারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ভ্যাকসিন অপচয় শূন্য বাংলা!

দুয়ারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ভ্যাকসিন অপচয় শূন্য বাংলা!

কলকাত: টিকাকরণ চললেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা৷ একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে  করোনা ভাইরাস৷ দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত দিশেহারা দেশ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া পরিসংখ্যান বলছে, নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১২। এর মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১২ লক্ষ পেরিয়েছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের করোনার ছোবলে মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের৷ সুস্থতার হার তুলনায় অনেক কম৷ একদিনে করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৬ জন৷ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৯৮ জন। করোনায় মৃত্যু ১০৷ গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কলকাতা আক্রান্তের সংখ্যা ১১০৯জন৷

অন্যদিকে, একটু হলেও স্বস্তির খবর, পশ্চিববঙ্গে ভ্যাকসিন অপচয় শূন্য৷  শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হরিয়ানা৷ দেশে যে ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে, সেই খবর কয়েকদিন আগেই শিরোনামে উঠে এসেছিল৷ এর পাশাপাশি দেশের একাধিক রাজ্যে ভ্যাকসিন নষ্টও হয়েছে বলেও উঠছিল অভিযোগ৷ আর সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হরিয়ানা৷ তবে এক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেকটাই ভাল কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গ, গোয়ার  মতো রাজ্যগুলি৷ এই রাজ্যগুলিতে ভ্যাকসিন অপচয় শূন্য৷ সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে৷ শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন উৎসব৷ দেশের রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে করোনার টিকা সবচেয়ে বেশি অপচয় হয়েছে তামিলনাড়ুতে৷ যার পরিমাণ ১২.৪ শতাংশ৷ দ্বিতীয় স্থানে থাকা হরিয়ানায় টিকার অপচয় হয়েছে ১০ শতাংশ৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিহার, ৮.১ শতাংশ৷ এছাড়া দিল্লি ৭ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ৭.৩ শতাংশ, পাঞ্জাব ৮ শতাংশ, অসম ৭.৩ শতাংশ, মণিপুরেও ৭.২ শতাংশ টিকার অপচয় হয়েছে৷

বিগত কয়েকদিন ধরে দেশের একাধিক রাজ্য টিকার সরবরাহ নিয়ে সরব হয়েছে৷ রাজ্যগুলির দাবি, কেন্দ্র টিকা সরবরাহ করছে না৷ আবার কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে টিকা অপচয়ের ব্যাপারে পাল্টা সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে৷ মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ টিকা অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে৷ তবে এই পরিস্থিতিতে আবার গোয়া, লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রশংসনীয় কাজ করেছে৷ কারণ এই রাজ্যগুলিতে করোনা টিকা অপচয়ের পরিমাণ শূন্য৷

এদিকে, মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি যেন ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ নাইট কারফিউ করে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমেছে অত্যন্ত সামান্য৷ করোনাকে বাগে আনতে আরও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ যখন করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, তার মধ্যেও পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের এখনও ৪ দফা নির্বাচন বাকি রয়েছে৷ ফলে আগামি মে মাসের শেষ দিকে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ বড় ধাক্কা দিতে চলেছে৷ যা নিয়ে এখনই আতঙ্কিত চিকিৎসক মহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *