বেসরকারি হতেই গড়ল রেকর্ড! এক দিনে টিকা নিলেন ১১ লাখ মানুষ

১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া

নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার করোনা টিকাকরণ। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীসহ প্রথম শ্রেণীর করোনা যোদ্ধাদের পর এবার দেশের প্রবীন নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন। দেশের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকাকরণের অনুমতি দিয়ে দিন দুয়েক আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র। আর তার পরেই দেখা গেল অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে টিকা গ্রহণ।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনা টিকা নিয়েছেন প্রায় ১১ লাখ মানুষ, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। পরিসংখ্যান বলছে, গত জানুয়ারিতে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত টিকা গ্রহণে এটাই রেকর্ড। অর্থাৎ বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে ন্যূনতম নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে টিকা গ্রহণে আরো বেশি আগ্রহী হয়েছেন মানুষ। গত বুধবারও টিকা গ্রহণের হার ছিল প্রায় ১০ লাখ। উল্লেখ্য, এর আগে সরকারি উদ্যোগে দিনে ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে আসছিল।

গত ২ মার্চ কেন্দ্র সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল দেশের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে এবার শুরু হবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। হাসপাতালগুলি স্বতন্ত্র উদ্যোগে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে। এমনকি কেন্দ্রের তরফে করোনা টিকার জন্য মূল্যও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজ বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হবে গ্রাহকদের। তবে পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও বিনামূল্যেই মিলবে পরিষেবা। এই ঘোষণার পর থেকেই দেখা গেছে দেশে  জুড়ে টিকা নেওয়ার সংখ্যাটা এক লাফে বেড়ে গেছে অনেকটাই।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়ে মার্চ মাসে এখনও পর্যন্ত ১৭৭১১২৮৭ সংখ্যক ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিগণ ছাড়াও ৪৫ বছরের বেশি বয়সী যাদের রোগের উপসর্গ রয়েছে তারাও এই পর্যায়ে করোনা টিকা নিতে পারছেন। ভারত বায়োটেক নির্মিত কোভ্যাকসিন এবং সিরাম ইনস্টিটিউট নির্মিত কোভিশিল্ড টিকার বন্টন চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *