নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর মোকাবিলায় দেশ জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর আনলক প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে জীবনযাত্রা স্বাভাবিকের পথে হাঁটলেও দেশ জুড়ে এখনও বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে আশার কথা শোনা গেলেও এখনি পুরোদমে স্কুল কলেজ খোলা হচ্ছে না, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে।
এদিন কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগের সদস্য ভি.কে. পল জানিয়েছেন, দেশে পুরোদমে স্কুল কলেজ খোলার আগে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেওয়া হবে করোনার প্রতিষেধক টিকা। শুধু তাই নয়, শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরিবারের লোকজনেরও টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপরের ধাপে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাকরণের আওতায় আনা হতে পারে। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তবেই পুরোদমে স্কুল চালু করার কথা ভাববে কেন্দ্র সরকার।
বস্তুত, ভারতে ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের মধ্যে করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে যখন উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিভিন্ন মহল, তখন ব্রিটেনের ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়েছে কেন্দ্র। ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার ইতিমধ্যে দু’বার স্কুল কলেজ খুলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু দেখা গেছে তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে।
স্কুল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি খুলে দেওয়ায় ব্রিটেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে হু হু করে। তার উপর ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশ জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় দেশ জুড়ে ফের লকডাউনের ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটেনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই এখনি পুরোদমে স্কুল কলেজ খুলতে নারাজ কেন্দ্র সরকার। গত বছরের মার্চ মাসে লকডাউনের ঘোষণার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যদিও অনলাইনে পঠন পাঠন ক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিন্তু অধিকাংশ পড়ুয়ার কাছেই আদেও ডিজিটাল মাধ্যমের সেই শিক্ষা পৌঁছোচ্ছে কিনা সে বিষয়ে রয়েছে সন্দেহ। এমতাবস্থায় আগের মতো স্কুল কলেজ খুলে দিয়ে পড়ুয়াদের জীবনের ঝুঁকি নিতে চায় না কেন্দ্র সরকার।