‘বন্দিত্বের’ দাওয়াই ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ, গ্রুপ ভিডিও কল বেড়েছে ৭০%

করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯-এর প্রকোপে সারা বিশ্বে মৃত্যু ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ভারতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছে বহু রাজ্য। লাগু হয়েছে লক ডাউন। আর সেই 'বন্দিত্ব' দশা ঘোচাতে নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছেন। সূত্রের খবর, ফেসবুক মেসেঞ্জারে গ্রুপ ভিডিও কল তুলনামূলকভাবে ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই লক ডাউন পরিস্থিতিতে।

3 stocks recomended

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯-এর প্রকোপে সারা বিশ্বে মৃত্যু ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ভারতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছে বহু রাজ্য। লাগু হয়েছে লক ডাউন। আর সেই 'বন্দিত্ব' দশা ঘোচাতে নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছেন। সূত্রের খবর, ফেসবুক মেসেঞ্জারে গ্রুপ ভিডিও কল তুলনামূলকভাবে ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই লক ডাউন পরিস্থিতিতে।

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সবকিছুই সহজলভ্য। দূর দূরান্তের খবর অথবা অনলাইনে কেনাকাটা, কিংবা অবসর সময়ে বন্ধু, পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানোর জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ। স্বাভাবিকভাবেই কাজের ফাঁকে নেট দুনিয়ায় উঁকি মারা একটা ক্লিকের খেল। তার ওপর লক ডাউন পরিস্থিতি। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘরবন্দির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কাজের নিয়মও বদলেছে। বাড়ি বসেই কাজ করছেন বহু কর্মী। অনেকের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ নেই বলে শুয়ে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। এই অবস্থায় ফেসবুক ভিডিও কল অপশন ব্যবহার করছেন ব্যবহারকারীরা। ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রুপ ভিডিও কল ব্যবহারের প্রবণতা। গত সপ্তাহের শেষে এমনই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। পাশাপাশি রিপোর্ট বলছে, আগে ব্যবহারকারীরা যতক্ষণ ভিডিও কলে সময় কাটাতেন তার দ্বিগুণ সময় কাটাচ্ছেন এখন। এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র এই দেশে নয়। গোটা বিশ্বের নিরিখেই দাবি করা হয়েছে। একইভাবে হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও একই প্রভাব দেখা গেছে। ভিডিও কলেও পাশাপাশি ভয়েস কলের ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটিতে।  
 

লক ডাউন পরিস্থিতিতে ঘরে বসে ইন্টারনেটের শরণাপন্ন হবে মানুষ। তা আগেই অনুমান করেছিল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এমনকী, অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলি। এমনকী, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, হটস্টারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলির উদ্দেশে তাদের ভিডিওর মান কম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাতে ঘরবন্দি মানুষ ইন্টারনেটের ঘাটতিতে না পড়েন। বিএসএনএল, জিওর মতো সংস্থাগুলিও এক্ষেত্রে গ্রাহকের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে নেট দুনিয়ায় সক্রিয়তার মাত্রা যে এতটা বৃদ্ধি পাবে, তা বোধহয় আন্দাজ করেনি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ। ভয়েস কল, ভিডিও কলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছেন নেটিজেনরা।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =