নয়াদিল্লি: চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা আরো একবার দিল আমেরিকা। আমেরিকার স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও এদিন বলেন, ভারতকে সব রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত আমেরিকা। লাদাখ ইস্যুতে এই ধরনের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করছেন, আসলে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের পাশে পাওয়ার জন্য ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দোসর।
এদিন লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে পম্পেও মন্তব্য করেন, গালওয়ান ভ্যালিতে যে সকল ভারতীয় জওয়ানরা শহীদ হয়েছেন, তাদের শ্রদ্ধা জানায় আমেরিকা। ভারতের প্রয়োজনে তাদের সব রকম সাহায্য করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারত এবং আমেরিকা একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়েছে, এমনই মন্তব্য করেন মাইক। তিনি আরো দাবি করেন, বিগত বছরগুলোতে ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে। বিশেষ করে শেষ কিছু বছরে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দিল্লিতে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন ইউএস স্টেট সেক্রেটারি। দুই দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার ভারতে এসেছেন মাইক পম্পেও। তাদের সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও।
লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পর একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এখনও পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে কোন রকম সমাধানসূত্র বের করা সম্ভব হয়নি। এদিকে একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে বেজিং সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে পরিস্থিতি দুই দেশের পক্ষে অনুকূল হওয়ার ইঙ্গিত মেলেনি এখনো। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে তারা যেকোন রকম পরিস্থিতি সামলাতে তৈরি। অতএব মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনগুলিতে পরিস্থিতি আরো জটিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীন সেনা সংঘর্ষ হয়। তাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। সেই সংঘর্ষের পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রচণ্ড উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। চীনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার আওয়াজ উঠতে শুরু করে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এও জানা যায়, চীনের কমপক্ষে ৪০ জন সেনা শহীদ হয়েছে সেই সংঘর্ষে। তবে পদক্ষেপ নিতে বেশি সময় নেয়নি ভারত। সংঘর্ষের কিছুদিনের মধ্যেই একাধিক চিনা অ্যাপস নিষিদ্ধ করা হয় ভারত থেকে। যার ফলে চীনের অর্থনৈতিক সংকট বেড়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।