ওয়াশিংটন: ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে ‘মোদী’ পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মানহানি মামলা দায়ের করা হয় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে৷ সেই মামলায় গুজরাতের সুরাত জেলা আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়৷ এই শাস্তির জেরেই বাতিল হয়ে যায় সোনিয়া-পুত্রের সাংসদ পদ৷ সুরাতের আদালতের সাজা ঘোষণা থেকে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ, এই গোটা পর্বের উপর নজর রাখছে মার্কিন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সাফ জানালেন, ভারত ও আমেরিকা মত প্রকাশের অধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্নে অঙ্গীকার বদ্ধ। পারস্পরিক বোঝাপড়ার সূত্রেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টির উপর নজর রাখছে মার্কিন প্রশাসন৷
আরও পড়ুন- কীভাবে দেশের উচ্চশিক্ষায় জাতপাতের দাপট? উচ্চ শিক্ষার প্রথম ধাপেই কীভাবে ব্রাত্য দলিত?
আমেরিকার রাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত পটেল মঙ্গলবার রাহুল-কাণ্ডে মুখ খোলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতের আদালতে রাহুল গান্ধীর মামলাটি সম্পর্কে আমরা অবগত৷ এই বিষয়ে আমাদের নজরে রয়েছে। দুই দেশই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বিশেষত মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে দায়বদ্ধ। ভারতের ক্ষেত্রে আমরা গণতন্ত্রের গুরুত্ব, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি জোর দিচ্ছি। দুই দেশেই গণতন্ত্র রক্ষায় এটা জরুরি।”
এদিন বেদান্তকে প্রশ্ন করা হয়, রাহুলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে? মার্কিন মুখপাত্র বলেন, ‘‘আলাদা ভাবে কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যে কোনও দেশেরই সরকার-বিরোধী দলের পক্ষে কথা বলে থাকি। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।’’ উল্লেখ্য, রাহুলের বিষয়ে আর কোনও দেশ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি৷ মুখ খোলেনি ব্রিটেনও৷ গত মাসেই লন্ডনে গিয়েছিলেন রাহুল৷ সেই সময় ভারতে গণতন্ত্র বিপন্নতার কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, দেশের বিষয়ে বিদেশের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন রাহুল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সোনিয়া-পুত্র৷
শুক্রবার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। রাহুল কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। ‘গুজরাতের সুরত জেলা আদালত তাঁকে ২ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেয়৷ আপাতত জামিনে মুক্ত কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সুরত আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>