নিউইয়র্ক: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের জেরে উত্তাল হয়েছে দুই দেশ। ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পর উঠেছে বদলার আওয়াজ। সেই প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিয়ে একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় সমাধানসূত্র মেলেনি লাদাখের সীমান্ত নিয়ে। এবারে এই প্রেক্ষিতে মুখ খুলে কার্যত বোমা ফাটালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে,জুন মাসে ভারতের লাদাখ সীমান্তে চীন যে হামলা করেছিল তা পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক। মার্কিন কংগ্রেসের এক শীর্ষস্থানীয় কমিটির দাবি এমনটাই।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা রিভিউ কমিশন’ তথা USCC-এর রিপোর্ট। এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের লাদাখ সীমান্তে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল তা বহু আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল চীন। এই প্রেক্ষিতে অনেক প্রমাণ মিলেছে ইতিমধ্যেই। এই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, হতাহতের ব্যাপারটাও চীন মাথায় রেখেছিল, সেই কারণে সংঘর্ষের পর ঠিক কতজন লালফৌজের জওয়ান শহিদ হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনা রাস্তা নির্মাণ করছিল, সেই নির্মাণকাজ বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই এই ভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় চীনের সেনা, এমনই দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এককথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সব জেনে বুঝে, পরিকল্পনামাফিক এই সংঘর্ষ বাঁধিয়েছিল চীনের বেজিং সরকার। এমনকি ৪৫ বছরে প্রথমবার ভারত এবং চীন সীমান্তে গুলি চালানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হয়েছে।
ওই মার্কিন রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে, গালওয়ান সীমান্তের স্থিতাবস্থা ফেরাতে সংঘর্ষ করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল চীন, সেই প্রেক্ষিতেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বেশ কয়েক মাস ধরে। সেই প্রেক্ষিতে লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে অনেক আগে থেকে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছিল বেজিং সরকার। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, ভারত যদি চীন এবং আমেরিকার ব্যাপারে নাক গলায়, তবে মেনে নেওয়া হবে না। সেই প্রেক্ষিতেই এই হামলার প্রস্তুতি করছিল তারা। অবশেষে পরিকল্পনামাফিক সীমান্ত সংঘর্ষ বাঁধানো হয়েছে।