ওয়াশিংটন: আমেরিকার আকাশে চিনা গুপ্তচর বেলুনের প্রবেশ ঘিরে শোরগোল কূটনৈতিক মহলে৷ পেন্টাগনের দাবি, আমেরিকার উপর নজরদারি করতেই এই স্পাই বেলুন পাঠিয়েছিল চিন৷ অপর দিকে চিনের দাবি, এটা কোনও গুপ্তচর বেলুন নয়৷ বরং আটলান্টিক উপকূলে পরিবেশ, আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ করছিল। হাওয়ার ধাক্কায় সেটি নিজের গতিপথ বদলে আমেরিকার আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে। কিন্তু চিনের এই দাবি ধোপে টেকেনি৷ বেলুনটি গুলি করে নামানোর পর পেন্টাগনের দাবি, বেলুনটি সাধারণ কোনও বেলুন নয়, এতে অত্যাধুনিক সোলার প্যানেলসহ এমন কিছু উপাদান ছিল, যা আবহাওয়া গবেষণায় কাজে লাগে না৷ যুযুধান দুই দেশের বাকবিতণ্ডার মাঝে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা গেল, শুধু আমেরিকা নয়, ৪০টি দেশের উপরে নজরদারি চালাচ্ছিল চিনা স্পাই বেলুন৷
আরও পড়ুন- মৃত্যুপুরী! তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার পার, প্রবল ঠান্ডা আর ক্ষুধার জ্বালায় গৃহহীনরা
আমেরিকার আকাশে চিনের রহস্যজনক বেলুনের দেখা মিলতেই বিস্তর টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল কূটনৈতিক মহলে। আমেরিকা দাবি জানায়, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলির উপরে নজরদারির কাজেই তাদের আকাশসীমায় ঢুকেছে এই স্পাই বেলুন৷ কয়েক দিন পর্যবেক্ষণের পর সেটিকে মিসাইল ছুড়ে নামানো হয়৷ এর পর থেকেই আমেরিকা ও চিনের সম্পর্কে জটিলতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বৃহস্পতিবার আমেরিকার তরফে জানানো হয়, সন্দেহজনক যে বেলুনটি চিন পাঠিয়েছিল, তা কমিউনিকেশন সিগন্যাল সংগ্রহ করতে সক্ষম। ওই বেলুনটি ৪০টি দেশের উপর থেকে উড়ে এসেছিল৷ সন্দেহ, ওই বেলুন মারফত প্রত্যেকটি দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে চিন।
বেলুনটিকে নামানোর পর সমুদ্র থেকে সেটির অংশাবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বিমানের যন্ত্রাংশ মিলেছে৷ এই যন্ত্রাংশগুলি পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই এফবিআইয়ের সদর দফতর কোয়ান্টিকোয় পাঠানো হয়েছে। আমেরিকার দাবি, মন্টানার পরমাণু লঞ্চ প্যাড বেসের উপরে নজর রাখছিল চিনের ওই গুপ্তচর বেলুন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা জানি যে চিনের পাঠানো ওই নজরদার বেলুন পাঁচটি মহাদেশের মোট ৪০টি দেশের উপর দিয়ে উড়ে এসেছে। বাইডেন প্রশাসন সরাসরি ওই দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে এই বিষয়ে আলোচনার জন্যে।”