তাইপেই: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগুন এখনও ধিক ধিক করে জ্বলছে৷ এরই মধ্যে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে চড়তে শুরু করেছে উত্তেজনার পারদ। তাইওয়ান সীমান্তের কাছে চিনের যুদ্ধের মহড়া গোটা বিশ্বের কৌশলগত ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। তবে এবার চিনের উদ্বেগ বাড়িয়ে তাইওয়ান প্রণালী ধরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করল আমেরিকা এবং কানাডা। চিনের কাছে যা এক ‘চমক’৷ তবে আমেরিকার নাম না করেই তাদের সাফ হুঁশিয়ারি, কোনও রকম প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা হলে কিংবা চিনের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে, পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বেজিংও।
আরও পড়ুন- ‘অভিশপ্ত’ ১৯! ১৯৮৫, ২০১৭-র পর একই দিনে ফের তীব্র ভূমিকম্প মেক্সিকোয়, মৃত এক
সুসজ্জিত নৌবহর নিয়ে তাইওয়ান প্রণালী ধরে এই সামরিক মহড়া প্রসঙ্গে আমেরিকার নৌবাহিনীর সপ্তম নৌবহরের দাবি, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তাইওয়ান প্রণালী ধরে এগিয়ে চলেছে আমেরিকা এবং কানাডার যৌথ রণতরী। এ প্রসঙ্গে কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দের বক্তব্য, ‘‘এই রুটিন মহড়ার মাধ্যমে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত, অবাধ এবং স্বাধীন রাখার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেটাই রক্ষা করছি মাত্র।”
তাইওয়ান প্রণালীর মাধ্যমে চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে তাইওয়ান। তবে স্বশাসিত তাইওয়ানকে বারবারই নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে চিন৷ অন্যদিকে, আগাগোড়াই তাইওয়ানের স্বশাসনকে বিশেষ স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে আমেরিকা। কিছু দিন আগেই আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে শুরু হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধ৷ আমেরিকার যুদ্ধবিমানের ঘেরাটোপে ন্যান্সি পেলোসির উড়ান তাইওয়ানের মাটি ছাড়তেই সে দেশের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ২৭টি চিনা যুদ্ধবিমান৷ প্রতিরক্ষা সীমা লঙ্ঘন করেই বিমানগুলি পাক খায় তাইওয়ানের আকাশে৷ চিন পেলোসির সেই সফরকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘অযথা হস্তক্ষেপ’ বলেই উল্লেখ করে।
এদিকে তাইওয়ান প্রণালীকে আন্তর্জাতিক জলপথ হিসাবে ব্যবহারের বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই উদ্যোগী আমেরিকা৷ এই বিষয়ে চিনের প্রবল আপত্তি ও হুঁশিয়ারি কার্যত উড়িয়ে দিয়েই সাম্প্রতিক কালে ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ার নৌবহর তাইওয়ান প্রণালী ধরে রুটিন মহড়া চালিয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরেও চিনের একাধিপত্যকে খর্ব করতে মরিয়ে আমেরিকা এবং পশ্চিমী দেশগুলির একটা বড় অংশ। কিছু দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, চিন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী নীতি নিলে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>