উত্তরপ্রদেশ: করোনার দ্বিতীয় ইনিংস ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ করল উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ করোনা যে প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বার আরও মারাত্মক হতে পারে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গোটা বিশ্বেই তার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় প্রতিটি রাজ্য নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব আরকে তিওয়ারি নির্দেশিকাটি জারি করেছেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোথাও যদি একজন করোনা পজিটিভ হয়, তাহলে ওই পরিবারের আশপাশের ২০টি বাড়ি নিয়ে এলাকা সিল করে দেওয়া হবে। যদি দু’জনেরও করোনা ধরা পড়ে, তবে ৬০টি বাড়ি নিয়ে এলাকা সিল করে দেওয়া হবে। ১৪ দিন সংক্রমিত এলাকায় মানুষের যাতায়াত বন্ধ রাখা হবে। আবসান এলাকায় যদি কোনও একজন কোভিড পজিটিভ হন, তাহলে বিল্ডিংয়ের ওই তলাটি সিল করে দেবে প্রশাসন। আর একের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে গোটা ব্লকটিই সিল করে দেওয়া হবে। প্রতিটি সংক্রমিত এলাকার জন্য তৈরি করা হবে একটি নজরদারি দল । সেই দল গঠিত হবে স্বাস্থ্য দফতরের একজন কর্মী এবং স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যদের নিয়ে। আর প্রতি পাঁচটি দলের মাথায় একজন সুপাভাইজার থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবারই উত্তরপ্রদেশে ৪ হাজার ১৬৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যের রাজধানী লখনউ-সহ কানপুর, এলাহাবাদ, বারাণসি, গাজিয়াবাদ, গৌতম বুদ্ধ নগরে যে ভাবে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে, সেই পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে রবিবার উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার তিনি নিজে করোনা টিকা নেন৷ করোনা টিকা নিয়ে যোগী বলেন, ‘যাঁদের টিকা নেওয়া সম্ভব তাঁরা সবাই এগিয়ে আসুন। উত্তরপ্রদেশকে করোনা মুক্ত করতে সাহায্য করুন।’
উল্লেখ্য, এই প্রথমবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়াল। মৃতের সংখ্যা প্রায় পাঁচশো। বিশেষজ্ঞদের কথায়, নিজেদের উদাসীনতার ফল ভুগতে হচ্ছে দেশবাসীকে। দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে কোভিড জয়ীর সংখ্যা কম। এটাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দৈনিক সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সংক্রমিতের প্রায় অর্ধেক।