লখনউ: ফের যোগীরাজ্যে কাঠগড়ায় পুলিশ৷ প্রতিটা ক্ষেত্রেই অভিযোগ বদলে গেলেও অভিযুক্ত একই৷ এবার লখনউর কাছে এক ধাবা মালিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, ধাবায় গিয়ে কয়েকজন পুলিশকর্মী দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারেন। কিন্তু অভিযোগ, খাবারের বিল দেওয়ার পরই পুলিশকর্মীরা তা দিতে অস্বীকার করেন এবং ঝামেলা শুরু করে দেন। খাবারের বিল ৪৫০ টাকা হলেও, পুলিশকর্মীরা ১০০ টাকাই মাত্র দিতে চান। বাকি টাকা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা গালিগালাজ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরপর ধাবা থেকে তাঁরা চলেও যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তাঁরা তিনটি জিপে করে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ধাবায় ফেরত আসেন এবং ধাবার মালিক, কর্মচারী এবং সেই সময় যে কজন ধাবায় খাওয়াদাওয়া করছিলেন, সবাইকে থানায় তুলে নিয়ে যান। এই ঘটনায় মোট ১০ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে হত্যা করার চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখা-সহ গাঁজা ও ড্রাগ রাখার কেস দেওয়া হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। থানায় নিয়ে তাঁদের মারধরও করা হয় বলেই অভিযোগ করেন ধাবার মালিক প্রবীণ কুমার যাদব। ধাবার মালিক যাদববাবু একজন বি.টেক ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সত্ত্বেও একটি পথ দুর্ঘটনায় তাঁর ডান পা খোয়া যাওয়ায় তিনি চাকরি হারান।
ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশের ইটা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহুল কুমার জানান, ‘ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ইন্সপেক্টর ইন্দ্রেশ পাল সিং এবং দু’জন হেড কনস্টেবল শ্রেলেন্দ্র ও সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে। এঁরা কোতোয়ালি দেহাত থানায় কর্মরত। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ধাবার পাশাপাশি থাকা অনেকের সঙ্গে কথা বলি এবং স্থানীয়দের থেকেই জানতে পারি সেখানে ওইদিন কোনও গুলি চলার আওয়াজ তাঁরা পাননি। অথচ অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর ইন্দ্রেশ পাল সিং বলেছিলেন, ধাবার মালিক ও কর্মীরা গুলি চালিয়েছিলেন পুলিশের ওপর। এর পাশাপাশি যে ১০ জনকে সেদিন মিথ্যা মামলায় ধরা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেকের ব্যাপারেই আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ এর আগে ছিল কিনা।’ এই ঘটনায় ফের একবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সব মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এহেন আচরণে কাঠগড়ায় যোগীরাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নও৷