নিজস্ব প্রতিনিধি: কোনও শক্তিই হ্যাটট্রিক করা থেকে বিজেপিকে রুখতে পারবে না। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি ফের ফিরে আসবে কেন্দ্রে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ঝড়ের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকরা। এই দাবি বহুদিন ধরেই করছে গেরুয়া শিবির। তাদের সেই আত্মবিশ্বাসের ছবি এবার ধরা পড়ল বৃহস্পতিবারের অন্তর্বর্তী বাজেটে। জনমোহিনী বাজেট পেশের ধারে কাছে হাঁটার চেষ্টা করলেন না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। আগামী দিনে যা করা সম্ভব সেগুলিই শুধু ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সেই কারণেই মধ্যবিত্তের বহু প্রত্যাশা থাকলেও আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৭ লক্ষ টাকা থেকে আর বাড়ানো হয়নি। এটা বলতেই হবে যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে যথেষ্ট সাহস দেখাল নরেন্দ্র মোদি সরকার।
তবে কি কেন্দ্রে আবার ফিরে আসার ব্যাপারে এতটাই নিশ্চিত বিজেপি? সেই কারণেই এমন সাহস তারা দেখাতে পারল? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। উল্লেখ্য গত লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করতে গিয়ে বেশ কিছু জনমোহিনী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তাই এবারেও কেন্দ্র সেই রাস্তায় হাঁটবে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। কিন্তু সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছে কেন্দ্র। তারা ফের জেতার ব্যাপারে কতটা আত্মপ্রত্যয়ী সেটা এদিন বাজেট পেশ থেকেই বোঝা গিয়েছে।
আসলে বিরোধীরা এখনও ছন্নছাড়া অবস্থায় রয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র এগোতে পারেনি তারা। যে শক্তিশালী বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হটানোর স্বপ্ন দেখছিল বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট, তা আরও ধাক্কা খেয়েছে নীতিশ কুমার এনডিএ জোটে ফিরে যেতেই। উত্তরপ্রদেশে রাতারাতি ১৬টি আসনে একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছেন অখিলেশ যাদব। যে ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করছে কংগ্রেস। যত দিন যাবে ততই বিরোধীদের কাছে এমন আরও অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হবে বলে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন। আর সেটা বুঝেই বিজেপির উপলব্ধি অন্তর্বর্তী বাজেটে চমক দেখানোর প্রয়োজন নেই। সেটা তারা তুলে রাখল জুলাইতে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের জন্য। সবমিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠল বৃহস্পতিবারের অন্তর্বর্তী বাজেটে।