জানুয়ারি থেকে বর্ধিত হারে বেতন পাওয়া অনিশ্চিত! প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দপ্তর

ছয় মাসের বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে পঞ্চাশ মাস পেরিয়ে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে লাগু হয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন। কিন্তু বেতন কমিশন কার্যকর হয়ে গেলেও বছরের প্রথম মাসে বর্ধিত হারে বেতন মিলবে কি না, তা নিয়েই এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে নতুন বছরের প্রথম বর্ধিত বেতনের ভবিষ্যৎ।

কলকাতা: ছয় মাসের বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে পঞ্চাশ মাস পেরিয়ে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে লাগু হয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন। কিন্তু বেতন কমিশন কার্যকর হয়ে গেলেও বছরের প্রথম মাসে বর্ধিত হারে বেতন মিলবে কি না, তা নিয়েই এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে নতুন বছরের প্রথম বর্ধিত বেতনের ভবিষ্যৎ।

নতুন বছরের প্রথম বর্ধিত হারে বেতন হবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষক মহলে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও। কিন্তু কেন এই জটিলতা? শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী আজ এক বিবৃতিতে জানান, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানুয়ারি, ২০২০, থেকে নতুন পে কমিশন লাগু করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য যথেষ্ট সময় আগে থেকে অপশন এবং ফিকশেশন সাবমিট করার সুযোগ দেওয়া হলেও শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীদের জন্য শিক্ষা দপ্তর থেকে রোপা ২০১৯ প্রকাশিত হয়েছে গত ১৩ ই ডিসেম্বর। অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীদের থেকে প্রায় ৮০ দিন পর। এরপর শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীদের অনলাইনে অপশন এবং ফিকশেশন সাবমিট করার সুযোগ দেওয়া হল গত ১৪ ই জানুয়ারি রাত থেকে। যদিও তা কেবল দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলির জন্য। ১৭ ই জানুয়ারি থেকে সব জেলার জন্য অনলাইনে অপশন ফিলাপের সুযোগ দেওয়া হল। দক্ষিণ বঙ্গের বহু বিদ্যালয় অনলাইনে তা সাবমিট করে দিয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত দু' একটি জেলার ডিআই ছাড়া অন্যান্য জেলার ডিআইগন অনলাইনে অপশন এবং ফিকশেশন সাবমিট করার পর বিদ্যালয়গুলি কবে থেকে প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্রসহ হার্ড কপি ডিআই অফিসে জমা দেবে তার কোনো নির্দেশিকা দেননি। ফলে জানুয়ারি মাস থেকে বর্ধিত হারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীদের বেতন পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।” 

কিংকর বাবুর বক্তব্য, “এটি শিক্ষা দপ্তরের আর একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকার নিদর্শন। নিয়ম অনুযায়ী ডি আই অফিসে হার্ড কপি জমা দেওয়ার পর এ্যাকাউন্ট শেকশন থেকে অ্যাপ্রুভাল পেলে তবেই জানুয়ারি মাসের নতুন স্যালারি পাওয়া যাবে। অথচ এ ব্যাপারে শিক্ষা দপ্তর থেকে কোনো তৎপরতা নেই। আমরা দাবি করছি, বিভিন্ন জেলার ডিআইগণ অতিসত্বর অনলাইনে অপশন এবং ফিকশেশন সাবমিট করার পর কবে থেকে বিদ্যালয়গুলি প্রয়োজনীয় কোন্ কোন্ কাগজপত্রসহ হার্ড কপি জমা দেবে তার নির্দেশিকা দিন এবং জানুয়ারি মাসের নতুন স্যালারি পাওয়া নিশ্চিত করুন। বহু স্কুল ইতিমধ্যেই অনলাইনে অপশন ও ফিকশন সাবমিট করে ডিআইদের নির্দেশিকার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন।” 

কিংকরবাবু বলেন, “শিক্ষাদপ্তর ও শিক্ষামন্ত্রীর নিকট দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে এ বিষয়ে অতি দ্রুত যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীগণ যাতে নতুন হারে জানুয়ারির বেতন পান তা নিশ্চিত করুন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *