ভারতের শিক্ষানীতি প্রয়োগ করতে চায় বিদেশী প্রতিষ্ঠানও! দাবি শিক্ষামন্ত্রীর

কেমব্রিজ, মরিশাস ইন্দোনেশিয়ার মতো জায়গা থেকে ভারতের শিক্ষানীতির প্রশংসা করা হয়েছে, বলেন শিক্ষামন্ত্রী

নয়াদিল্লি: ২০২০ সালে করোনা আবহে নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। দেশ জুড়ে এই শিক্ষানীতি নিয়ে অবশ্য দেখা গিয়েছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ সমর্থন জানালেও, সমালোচনা  এমনকি নয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখা গিয়েছিল কোনো কোনো প্রান্তে। তবে বিতর্কের মাঝেই শিক্ষানীতি নিয়ে বড়সড় দাবি করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল।

ভারতের জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ (NEP 2020) সমাদর পাচ্ছে আন্তর্জাতিক দরবারেও, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের একাধিক প্রখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অসংখ্য দেশ ভারতের নয়া শিক্ষানীতির প্রশংসা করেছে। শনিবার সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম সংস্কারের স্বীকৃতি দিয়েছে। এই নীতি নিজেদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।”

শনিবার দিল্লি ইউনিভার্সিটির ৯৭ তম বার্ষিক কনভোকেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন সংসদীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। সেখানে তিনি বলেন কেন্দ্রের এই নতুন শিক্ষা নীতি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। দেশের সংস্কার, অগ্রগতি এবং বিবর্তনে নয়া শিক্ষানীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। কোন কোন বিদেশী প্রতিষ্ঠান এই কেন্দ্রীয় নীতিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে? শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, “কেমব্রিজ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, মরিশাস, ইন্দোনেশিয়াসহ আরো অনেকে বলেছে ভারতের জাতীয় শিক্ষানীতি বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষা সংস্কার। তাঁদের দেশেও এই নীতি প্রয়োগ করতে চেয়েছে তারা। তাই এই নীতি জাতীয়, আবার আন্তর্জাতিকও বটে। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এই নীতি একগুচ্ছ নতুন সুযোগ সম্ভাবনা নিয়ে আসবে।”

এখানেই শেষ নয়, জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করে দিল্লি ইউনিভার্সিটিকেই গোটা বিশ্বকে পথ দেখাতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের শিক্ষা নীতিকে পরিবর্তন করে গতবছর নতুন শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *