চেন্নাই: হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা নয়। প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিন্দি ব্যবহৃত হয়, তাই অনেকের মধ্যেই এক ভ্রান্ত ধারণা আছে যে হিন্দি দেশের রাষ্ট্রভাষা। এই ভাষা কেউ যদি বলতে নাও পারে তাতে তার ভারতীয় হওয়া আটকায় না। কিন্তু ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি তাঁর এক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এই প্রসঙ্গেই। এক সিআইএসএফ অফিসার নাকি কানিমোঝির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কারণ তিনি হিন্দি বলতে পারেননি। বিজেপি সরকারের নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কানিমোঝি এই ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: BREAKING: করোনা আক্রান্ত প্রণব মুখোপাধ্যায়, আরোগ্য কামনা মমতার
সম্প্রতি বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোনও আগাম আলোচনা ছাড়াই নয়া শিক্ষানীতি পেশ করেছে। সেই নিয়ে বিরোধীদের বিতর্ক সামনে আসছে প্রতিদিন। সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুলেছে কংগ্রেসও। এদিকে চেন্নাইয়ের ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি এই নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ঘটা পূর্বোক্ত দৃষ্টান্তমূলক ঘটনার উদাহরণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি টুইটারে লিখেছেন, বিমানবন্দরে হিন্দি বলতে পারবেন না বলায়, এক সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের অফিসার তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। হিন্দি বলতে পারেন না তাই তিনি আদৌ ভারতীয় কিনা এমনটাই জানতে চান ওই অফিসার। কানিমোঝির প্রশ্ন, হিন্দি বলতে পারাটাই কি একমাত্র নাগরিকত্বের প্রমাণ?
আরও পড়ুন: UGC-র বিধি বদলাতে পারে না রাজ্য, পরীক্ষা মামলায় নয়া অবস্থান কেন্দ্রের
কানিমোঝির বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন শিবগঙ্গার কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘এখন হিন্দি ভাষা দিয়ে নাগরিকত্ব পরীক্ষা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও যে কী কী দেখতে হবে!’ কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি গণতন্ত্র বিরোধী এমনটাই দাবি করেছেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন। তাঁর মতে, এই শিক্ষানীতি প্রয়োগের মাধ্যমে বিজেপি সরকার জোর করে সমস্ত রাজ্যের ওপর হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষাকে চাপিয়ে দিতে চাইছেন। আসলে এক দেশ এক আইনের মতো এক দেশ এক ভাষাকেই ছড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপি সরকার।