ফের ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন গড়তে চাইছে রাশিয়া, বিস্ফোরক অভিযোগ ইউক্রেনের

ফের ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন গড়তে চাইছে রাশিয়া, বিস্ফোরক অভিযোগ ইউক্রেনের

কিয়েভ:  বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন৷ যুদ্ধের মুখোমুখি দুই দেশ৷ এই অবস্থায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ। তাঁর দাবি, তিন দশক আগে ১৯৯১ সালে লুপ্ত হয়ে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন পুনর্গঠনের গোপন পরিকল্পনা করথেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর দাবি, ‘‘সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রকে ফের একত্রিত করার কাজ শুরু করেছে মস্কো।’’

আরও পড়ুন- ইউক্রেনে রুশ সেনা মোতায়েন ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন’, আটকে থাকা পড়ুয়াদের নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে উদ্বেগ ভারতের

আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সোমবার রাতে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা দুই প্রদেশ ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক(যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়)-কে স্বাধীন বলে ঘোষণা করে দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷  তাঁর এই পদক্ষেপে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে সোচ্চার হয়েছে ইউক্রেন। পুতিনের এই সিদ্ধান্তের রিরোধিতা করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “আমরা কাউকে ভয় পাই না। কোনও কিছুতেই ভয় পাই না। কারও কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না, কারও হাতে কোনও কিছু তুলেও দেব না।” এরই মধ্যে মঙ্গলবার ইউক্রেনের সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রেজনিকভ৷ সেখানে তাঁদের ‘আগামী দিনে ত্যাগ এবং ক্ষয়ক্ষতির’ জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য বিষয় হল, পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককের সামরিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই এলাকা থেকে খুব সহজেই দ্রুত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অভিযান চালাতে পরবে রুশ সেনা৷ এমনটাই আশঙ্কা করছে ন্যাটো৷ রুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউক্রেনের ডনবাস এখনও ইউক্রেন সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন৷ কিন্তু ক্রমশ সেখানে রুশ মদতেপুষ্ট সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সক্রিয় হয়ে উঠছে৷ 

এদিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আরেক প্রজাতন্ত্র বেলারুশে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে শুরু হয়েছে যুদ্ধের মহড়া৷ ফলে উইক্রেন প্রায় সাঁড়াশি চাপে৷ রুশ আক্রমণের মুখে ইউক্রেন সেনা কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে, তা নিয়ে কিন্তু সংশয় রয়েছে৷ তবে সম্ভাব্য রুশ আগ্রাসন রুখতে পোল্যান্ড এবং জার্মানিতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো৷ তবে সামরিক দিক থেকে রাশিয়া সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।