নয়াদিল্লি: ব্রিটেনের নতুন করোনা স্ট্রেনের আঁচ এসে লেগেছে ভারতেও। কলকাতাতেই ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের মধ্যে খোঁজ পাওয়া গেছে নতুন এই আতঙ্কের। কিন্তু ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনো আঁচ ফেলেনি অতিমারী। সুসম্পর্কের রেশ বজায় রেখেই এবার আগামী জি৭ বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানাল লন্ডন।
চলতি বছরের জুন মাসে ব্রিটেনের কর্নওয়েল প্রদেশে আয়োজিত হতে চলেছে জি৭ বৈঠক। ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে সঙ্গে জি৭ বৈঠকে উপস্থিত থাকবে ভারতও। সেই মর্মে এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
জানা গেছে, ভারত ছাড়াও জি৭ বৈঠকে ব্রিটেনের তরফ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াকে। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি বিবৃতি দিয়ে ব্রিটেন জানিয়েছে, “করোনা পরবর্তী এক উন্নত পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য জি৭-এর প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।” এতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরো উন্নত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
এদিনের প্রেস বিবৃতিতে আরো একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের সুনাম করেছে ব্রিটেন। বলা হয়েছে, “বিশ্বের প্রায় ৫০% ওষুধ তৈরি করে ভারত। করোনা কালেও ভারত ব্রিটেন একসঙ্গে লড়াই করেছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা বারবার নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলেছেন।” এছাড়া জি৭ বৈঠকের আগেই একবার ভারত সফরে আসার বার্তাও দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে এ দেশে আসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু ব্রিটেনে আচমকাই বেড়ে যায় করোনার নতুন স্ট্রেনের কোপ। এর বাড়বাড়ন্ততে দেশে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করতেও বাধ্য হন বরিস জনসন। এমনকি ভারতে ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের মধ্যে নতুন ভাইরাসের খোঁজ মিললে দু’সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারত-ব্রিটেন বিমান চলাচলও। এমতাবস্থায় প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রত্যাশিত ভাবেই বাতিল হয়ে যায়।