নয়াদিল্লি: ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্য ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে দুই দেশের মধ্যে। এবার কানাডার ডাকা অনলাইন বৈঠকে ভারতের অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লির। তার তাতেই নয়াদিল্লির সঙ্গে অটোয়ার সাম্প্রতিক দূরত্ব আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
আগামী ৭ ডিসেম্বর কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল অবলম্বন নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ তবে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে ভারত অংশগ্রহণ করতে পারবে না৷ সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ব্যস্ত থাকার কারণেই অটোয়ার বৈঠকে থাকবে নয়াদিল্লি৷ তবে ভারতের এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷
কূটনৈতিক মহলের অনুমান, কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভারতের কৃষি বিক্ষোভকে ‘উদ্বেগজনক পরিস্থিতি’ হিসেবে চিহ্নিত করায় নয়াদিল্লির অসন্তোষের মূল কারণ। এক ভারতীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কয়েকদিন আগেই ট্রুডো ভারতের কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। জরুরি তলব করা হয় ভারতে কানাডার হাইকমিশনারকে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, কানাডা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে।
কিন্তু এতেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন জাস্টিন ট্রুডো। বলেছেন, ‘‘যাই হয়ে যাক, ভারতের কৃষকদের পাশে কানাডা আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে৷’’ কানাডার প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার আরও জানিয়েছেন, ‘‘শুধু ভারত নয়, বিশ্বের যেকোনও দেশের যেকোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশে কানাডা সবসময় থাকবে৷’’