কৃষ্ণনগর: স্কুলে এতদিন ছাত্রদের মধ্যে মারাপিটের খবর শোনা যেত৷ কিন্তু তা বলে দুই শিক্ষকের হাতাহাতি! হ্যাঁ, এমনটাই হল৷ প্রধান শিক্ষক আর ভুগোল শিক্ষকের মারামারিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে৷ দুই শিক্ষকের এই কাণ্ডে হতভম্ব পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা৷
আরও পড়ুন- রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা রাজ্যপালের
আগামীকাল অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খুলবে রাজ্যে৷ তার আগে দুই শিক্ষকের মারামারির খবরে শোরগোল শিক্ষা মহলে৷ দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ করতে গেলেই তাঁদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতেন তিনি। শুধু তাই নয়, শিক্ষকদের কাগজপত্র আটকে রাখার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বদলির হুমতি দিতেন তিনি৷
ঠিক কী হয়েছিল এদিন? জানা গিয়েছে, বুধবার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক নিমাই মজুমদার তাঁর কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ চাইতে যান প্রাধন শিক্ষকের কাছে৷ দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর কাগজ আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ বারবার চেয়েও কিছুতেই ওই কাগজ দিচ্ছিলেন না প্রধান শিক্ষক৷ বুধবার আর ধৈর্য্য রাখতে পারেননি তিনি৷ প্রতিবাদে ফেটে পড়েন৷ একেবার পোস্টার হাতে প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ বসে পড়েন ভুগোল শিক্ষক। অভিযোগ, সেই সময় ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভুগোল শিক্ষকের উপর চড়াও হন প্রধান শিক্ষক। এর পরেই দুই শিক্ষকের মধ্যে ব্যাপক মারামারি শুরু হয়৷ একে অপরে দেদার, চড়, ঘুসি মারতে থাকেন তাঁরা৷ এমনকী সংবাদমাধ্যমের সামনেও তাঁরা খান্ত হননি৷ পরে কোনও ভাবে দু’জনকে থামানো হয়।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাস৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কারও ফাইল আটকে রাখিনি৷ ওঁর কী দাবি, তা আমি জানি না৷