নয়াদিল্লি: নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল তাদের। ২০০৬ সালে নয়ডার কুখ্যাত নিঠারি হত্যামামলায় মূল অভিযুক্ত মণীন্দর সিং পান্ধের এবং সুরিন্দর কোহলিকে বেকসুর ঘোষণা করল এলাহাবাদ হাই কোর্ট৷ আদালত সূত্রে খবর, সুরিন্দরকে ১২টি মামলায় এবং মণীন্দরকে দু’টি মামলায় ‘বেকসুর’ ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে রদ হল ফাঁসির সাজাও৷
নয়ডার নিঠারি হত্যামামলা গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সারাদেশের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছিল সুরিন্দর কোলি এবং মণীন্দর সিং পান্ধের৷ তাদের নৃশংসতায় শিউড়ে উঠেছিল গোটা দেশ৷ আতঙ্কে কুঁকড়ে গিয়েছিল কমবসয়ীরা৷
২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ নিঠারি থেকে নিখোঁজ হতে শুরু করে একের পর এক যুবতী, কিশোর- কিশোরী৷ ঘটনার তদন্তে নেমে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিঠারির ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে ১৯টি কঙ্কাল এবং কিছু দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। যে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দেয়৷ পুলিশি তদন্তে উঠে হাড় হিম করা সত্য৷ জানা যায়, শিশু থেকে কিশোর- কিশোরী, তরুণীদের অপহরণ করে তাদের উপর যৌন নির্যাতন চালাতেন পান্ধের৷ তার পর তাদের খুন করে দেহাংশ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলতেন নিঠারির ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর বাড়ির পরিচারক সুরেন্দ্র। পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালগুলির মধ্যে ছিল একজন বাঙালি তরুণীও৷ নাম পিঙ্কি সরকার৷ অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের পরে খুন করে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই মামলায় পান্ধের এবং কোহলিকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারক পবন তিওয়ারি। কিন্তু, তা খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট৷
নিঠারি কাণ্ডের ১৯টি মামলার মধ্যে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে তিনটি মামলাই খারিজ করে দেওয়া হয়। বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে সাতটিতে ফাঁসির সাজা পান কোহলি। মণীন্দরকে অবশ্য জামিনে ছাড়া হয়েছিল। পরে পিঙ্কি খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পায় পান্ধার৷
পিঙ্কি খুনে তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে, বছর কুড়ির বাঙালি তরুণী মণীন্দর-এর বাড়িতে পরিচারিকার কাজে ঢুকেছিলেন। তদন্তকারী সংস্থা জানায়, পান্ধের তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে খুন করে। দোতলার কলঘরে তাঁকে খুন করেন পান্ধেরের পরিচালক সুরিন্দর । তার পর তাঁর মাথা কেটে বাকি দেহ প্রেশার কুকারে রান্না করে খেয়ে নেন বলে অভিযোগ৷